ধূমপানে ক্ষতি অধূমপায়ীর
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:১৪:৫২ অপরাহ্ন
অপরাধ না করেও সাজাভোগ।ব্যাপারটা এরকমই। ধুমপান না করেও এর শিকার হচ্ছেন অনেকে। আর এই সংক্রান্ত একটি ভয়াবহ তথ্য দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।তারা বলেছে-ধুমপায়ীদের কারণে অধুমপায়ীরাও স্বাস্থ্যহানির শিকার হচ্ছেন। তামাক গ্রহণের কারণে প্রতি বছর সারা বিশ্বে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১২ লাখ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার।
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটা সবাই জানে। আর জেনেও তারা অহরহ ধূমপানে মত্ত। ব্যাপারটা জেনেশুনে বিষ পান করার মতো। আর কেউ যদি নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনে, তাহলে তো কারও বলার কিছু নেই। কিন্তু কেউ যদি নিজের সর্বনাশ করার পাশাপাশি অন্যেরও ক্ষতি করে, তাহলে তো কিছ না কিছু বলতে হয়। সমাজের সকলেরই এব্যাপারে সোচ্চার হওয়া উচিৎ। জানা যায়, অধূমপায়ি ব্যক্তি যখন ধূমপানকারির তামাকের ধোঁয়া কিংবা অন্য কোন জ্বালানী হতে নির্গত ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসে তখন সেটা পরোক্ষ ধূমপান। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরোক্ষ ধূমপান প্রত্যক্ষ ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর। কারণ, এতে রয়েছে নিকোটিন, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানসহ আরো নানা রকম বিষাক্ত উপাদান; যা দেহের অনেক ক্ষতিসাধন করে থাকে। শিশু থেকে শুরু করে সব ধরনের মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন গর্ভবতী মায়েরা। দেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মৃত্যুবরণ করে থাকে। অধূমপায়ী যারা বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শে আসে তাদের হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ। পরোক্ষ ধূমপানে সাত হাজারেরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যার মধ্যে কমপক্ষে ৭০টি উপাদান ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। অধূমপায়ীরা পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শে আসলে তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণত যারা ধূমপান করে না তারা যখন পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শে আসে তখন তাকে বলা হয় অনৈচ্ছিক ধূমপান। ধূমপায়ির কাছাকাছি কোন অধূমপায়ি থাকলে তার দেহেও নিকোটিন এবং বিষাক্ত রাসায়নিক প্রবেশ করে। এতে ধূমপায়ির যা ক্ষতি হচ্ছে, অধূমপায়িরও একই পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই অবস্থায় বাচাঁর একমাত্র উপায় হচ্ছে ধূমপান বিরোধি আইনের যথাযথ প্রয়োগ। সর্বোপরি দরকার এব্যাপারে সর্বাত্মক সচেতনতা।