বাড়ছে করোনা, ভারতে নতুন সতর্কতা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:১৯:১৬ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রাজিলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতও নড়েচড়ে বসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে ভিড় হয়, এমন জায়গায় মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়র উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকে গতকাল বুধবার করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। এরপর সরকারিভাবে বলা হয়, জনসমাগম হয় এমন জায়গায় সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। সেই জায়গা বদ্ধ স্থান হতে পারে, খোলা জায়গাও হতে পারে। যারা প্রবীণ ও যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাদের কঠোরভাবে এ বিধি মেনে চলতে হবে।
বৈঠক চলাকালে সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানায়, চীনে করোনার নতুন যে রূপটি এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, অমিক্রনের সেই ‘বিএফ৭’এ আক্রান্ত তিন রোগীর সন্ধান ভারতে পাওয়া গেছে। এ সংক্রমণের প্রথমটি পাওয়া যায় গুজরাটে, গত অক্টোবরে। গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার ওই রূপের হদিস দিয়েছিল। দ্বিতীয় নমুনার সন্ধানও মিলেছিল গুজরাটে। তৃতীয়টির দেখা পাওয়া গেছে ওডিশায়।
চীনসহ বিভিন্ন দেশে নতুন করে কোভিডের সংক্রমণ (বিএফ৭) শুরু হয়েছে। আগামী দিনে তা ভয়ংকর রূপ নিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। এ রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকাল বুধবারের বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা। বৈঠকের পর মান্ডবীয় বলেন, ‘পৃথিবীর কয়েকটি দেশে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই অতিমারি এখনো শেষ হয়নি। পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সর্বস্তরে নজরদারি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। সরকার যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত।’
ভিড় জায়গায় মাস্ক পরা ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ ছাড়া সরকার এখনই নতুন করে কোনো কড়াকড়ির রাস্তায় হাঁটতে চাইছে না। এমনকি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকও করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়ে নীতিনির্ধারণ বিষয়ক সদস্য বিনোদ কুমার পল বৈঠক শেষে জানান, খোলা অথবা বদ্ধ স্থানে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হলেও সবার জন্য এখনই তা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। মাস্ক পরা ও বুস্টার ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক না হলেও যারা প্রবীণ এবং যাদের কো-মর্বিডিটি আছে, তাদের জন্য এটা আবশ্যক।
তিনি বলেন, দেশে মাত্র ২৭-২৮ শতাংশ মানুষ কভিডের বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এ সাবধানতামূলক ডোজ যথেষ্ট কার্যকর।