উচ্চশিক্ষা ও বেকার সমস্যা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:৫১:২১ অপরাহ্ন
ড. ফজলে এলাহী মোহাম্মদ ফয়সাল
বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করছে। দেশে ১৯৯০ সালে মাথা পিছু জি.ডি.পি এর পরিমান ছিলো মাত্র ৩০৬.২৭ মার্কিন ডলার। ২০১০ সালে মাথাপিছু জি.ডি.পি এর পরিমান ছিলো মাত্র ৭৬১.১৫ মার্কিন ডলার তবে ২০২১ সালে দেশের মাথা পিছু জি.ডি.পি হয়েছে ২৫০৩ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মাথা পিছু আয় বৃদ্ধির মূলে ছিলো গার্মেন্টস শিল্পের উন্নতি এবং প্রবাসীগণের মাধ্যমে প্রেরিত রেমিটেন্স বৃদ্ধি। মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেলেও কোন দেশের উন্নয়ন বলতে উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাসকরণকেও বুঝে থাকি। আমাদের দেশে এখনও ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য প্রকট। দরিদ্র পরিবার থেকে অতি কষ্টে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর বেকার থাকা একটি বিরাট সমস্যা।
বাংলাদেশের সরকারী ও বেসরকারী বিশ্নবিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রায় ২৩০০ টি কলেজের অধীনে প্রতিবছর প্রায় ৪.৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রী স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী স্নাতক ডিগ্রী অর্জনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ৪৭% বেকার থাকছেন। বর্তমানে এটি ৩৩%। কয়েক বছরের গড় প্রায় ৪০%। বেকার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কেউ কেউ বিদেশ চলে যাচ্ছেন। কেউ বা মূলত গ্রামে ব্যবসা করছেন। অনেকে মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগী অথবা গবাদী-পশু পালনে নিয়োজিত রয়েছেন। অনেকেই ফ্রি ল্যানসিং এ জড়িত রয়েছেন। ছাত্রদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা গেলো, স্নাতক সম্পন্ন করার পর বেকার যুবকদের প্রায় ২০% ফ্রি ল্যান্সিং এর সাথে জড়িত এবং টিউশনির সাথে জড়িত প্রায় ৩০%। অর্থ্যাৎ ধারণা করা যায়, শিক্ষিত বেকারদের প্রায় ৬৫% বিভিন্ন সম্মানজনক কাজের সাথে জড়িত হচ্ছেন। বিগত কয়েক বছরে গড়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারীদের সংখ্যা প্রায় ৩.৭ লাখ। প্রতিবেদনের তথ্যগুলো সঠিক হলে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী বেকার জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য এবং উপাত্ত বিশ্লেষন করে অনুমান করা যায় দেশে স্নাতক ডিগ্রী অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ধারী বেকারের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। মোটামুটি সম্মানজনক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় (১৫ লাখ ী ৬৫%) ৯.৭৫ লাখ বা প্রায় ১০ লাখ। বাকী রইলেন প্রায় ৫ লাখ। এর মাঝে প্রায় ৩০% মহিলা এবং বিবাহিতা এর প্রায় ৯৫%। বিবাহিতা মহিলা বাদ দিলে এই বেকার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৩.৬ লাখ। এই ৩.৬ লাখ স্নাতক ডিগ্রী অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী বেকারগণের মাঝে গ্রামাঞ্চলে পারিবারিকভাবে কিছুটা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারে ১০%। অর্থ্যাৎ বাকী ৩.২৪ লাখ বা ৩.২৫ লাখ দরিদ্র পরিবারের স্নাতক ডিগ্রী অর্জনকারী বেকারদের অবস্থা সত্যিই করুণ। যদি ধরে নেই, গ্রামাঞ্চলে একজন ব্যক্তির মৌলিক প্রয়োজন (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান) মেটানোর জন্য অন্তত ৭/৮ হাজার টাকার প্রয়োজন। তবে দরিদ্র পরিবারের স্নাতক পাস বেকারদের অনেকের তাও নেই। জীবনের প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে ছোট-খাট কাজ করতে হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় এবং স্নাতক পর্যায় শেষ করতে এদের পরিবারের এবং রাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে। যদিও সবাই জীবনের প্রয়োজনে সব কাজই করতে পারে এবং কোন কাজই ছোট নয় তবুও এতদিন পড়াশোনা করে ছোট কাজ করা কষ্টকর এবং দুঃখ জনক। উচ্চ শিক্ষিত হয়ে ছোট-খাট কাজ করতে হলে প্রায়ই শুনতে হয় মানুষের কটু কথা। আমাদের অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই জীবনের প্রয়োজনে উচ্চ শিক্ষিত এসব তরুণেরা কি ধরনের কাজ করতে বাধ্য হন।
কয়েকজন ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা গেলো, কেউ কেউ সি.এন.জি অথবা ব্যাটারী চালিত টমটম চালান, কৃষি কাজ করেন, কেউ রং এর মিস্ত্রী হয়ে কাজ করেন, হোটেলে কাজ করেন। দুঃখ জনক হলেও সত্য, কঠিন বাস্তবতায় একজন অনার্স এবং মাস্টার্সধারীকে রিকসা চালানোর কথাও শুনা গেলো। এ জন্যই কবি হয়ত বলেছেন ‘কবিতা তোমায় আজকে দিলাম ছুটি, ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবীর গদ্যময় চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।’ জীবনের প্রয়োজনে হয়তো অনেকে এসব বাস্তবতা মেনে নেন কিন্তু অনেকে মানুষের কটু কথা সহ্য করতে না পেরে কিছুটা ভারসাম্যহীন আচরন করেন। অনেকে মনের দুঃখে কাউকে কিছু না জানিয়ে অন্য জেলায় চলে যান এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপন রেখে ছোট-খাট কাজ করেন। যাই হোক, এটাই হলো বাস্তবতা। তবে তাঁরা যে কর্মই করেন না কেন গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের লেখাপড়া করানোর জন্য কম টাকায় হলেও টিউশনি করতে পারেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপে উঠে এসেছে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ গুলো থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ৬৬% বেকার। ২১% শিক্ষার্থী স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকুরী পান। ৩%-স্ব-উদ্যেগে কিছু করেন। একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে স্নাতক-ডিগ্রী অর্জনকারীকে একেবারে অযোগ্য বলার সুযোগ নেই।
উচ্চ শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর সমস্যাগুলো গভীর ভাবে অনুধাবন করা এবং এ সমস্যা সমাধানের উপায়গুলো গভীরভাবে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। কিছু দিন পূর্বে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের অর্থনীতি সম্পর্কিত একটি বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টয়ের মাধ্যমে তথ্য ও উপাত্ত উপাস্থপনের সুযোগ আমার হয়েছিল। অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯০ সালে ভিয়েতনামে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো মাত্র ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথা পিছু জি.ডি.পি ছিলো মাত্র ৯৫.১৯ ডলার। ২০১০ সালে দেশটিতে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু জি.ডি.পি এর পরিমান ছিলো মাত্র ১,৬৭৩ ডলার তবে ২০২১ সালে দেশটিতে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু জি.ডি.পি এর পরিমান ছিলো ৩,৬৯৪ মার্কিন ডলার। বৈদেশিক বিনিয়োগ ভিয়েতনামের মাথাপিছু আয়, কর্মসংস্থান, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত মি.পাম ভিয়েত চেন জানালেন ভিয়েতনাম বৈদেশিক বিনিয়োগকারীগণকে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করে এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীগণকে যথাযথ সম্মান এবং “লাল গালিচা” সংবর্ধনা প্রদান করে।
২০২১ সালে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো ২.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশে মাথা পিছু জি.ডি.পি ছিলো ২,৫০৩ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির জন্য গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ এবং প্রবাসীগণের প্রেরিত রেমিটেন্সের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পেলে দেশের প্রায় ১৫ লাখ স্নাতক ডিগ্রীধারী বেকার যুবকদের চাকুরীর সুযোগ তৈরি হবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ। উচ্চ শিক্ষিত বেকার এসব যুবকদের প্রতিমাসে মাত্র ২০০ ডলার থেকে ৬০০ ডলার বেতনে বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকুরী প্রদানের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের শ্রম ব্যয় বিশে^র অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এটি আমাদের পজিটিভ দিক হতে পারে। আমাদের দেশে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কলেজগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স অথবা ডিগ্রী কোর্স চালু হচ্ছে। আমাদের দেশে এখনও কারিগরী শিক্ষার এবং কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলের চাহিদা রয়েছে। উদাহারন সহ বলা যায়, সিলেট শহরে এ.সি, আই.পি.এস, ব্যাটারী ইত্যাদি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম এমন টেকনিশিয়ানের অভাব রয়েছে।
দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন। ফিনল্যান্ডে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত কারিগরী শিক্ষা বাধ্যতামূলক। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে কোন পর্যায়ে কারিগরী শিক্ষা এবং আই.টি সংক্রান্ত শিক্ষা অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি বিবেচনায় আনতে একান্ত প্রয়োজন। চাকুরীর প্রাপ্তির সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় এনে সিলেট শহরে বিভিন্ন কলেজের অধীনে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে অথবা বন্ধুদের গ্রুপের মাধ্যমে স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায় জড়িত হতে প্রায়ই দেখা যায়। মূদ্রা-নীতি, রাজস্বনীতির সাথে কোন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সঞ্চয় ইত্যাদির সম্পর্ক রয়েছে। বিনিয়োগ বান্ধব রাজস্ব-নীতি অথবা মূদ্রা নীতির বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। বাজারে কাজের চাহিদার সাথে শিক্ষা ব্যবস্থা সংগতিপূর্ণ নয়। মনে করি বহুজাতিক কোম্পানী বাংলাদেশে অটোমোবাইল শিল্পে বিনিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহন করল। এক্ষেত্রে প্রচুর সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন পড়বে। আমাদের দেশে কারিগরী ও বিশেষায়িত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের চাকুরীর বাজার ভালো আছে।
আমাদের দেশের যুবকদের জন্য টেকনিক্যাল এবং ভোকেশন্যাল শিক্ষা প্রয়োজন। দেশে টেকনিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় এবং ভোকেশন্যাল বিশ^বিদ্যালয় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন। ছোট অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কিছু আচরনগত শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। যেমন-যেখানে সেখানে ময়লা, আবর্জনা ফেলা যাবে না, থুতু ফেলা যাবে না ইত্যাদি। মানবীয় এবং নৈতিক গুনাবলী অর্জনের জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভয় এবং ভালোবাসা প্রয়োজন। এজন্য সঠিক ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। আমাদের দেশে অনেক সরকারী বিশ^বিদ্যালয়, কলেজ ইত্যাদির ছাত্রাবাসের মান উন্নত নয় এবং অবর্জনাময় পরিবেশ বিরাজ করে। কিছু ছাত্র হলের ভেতর প্রবেশ করলে দূর্গন্ধ পাওয়া যায়। সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মনোরম পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। উদাহারণ স্বরূপ বলা যেতে পারে ঢাকা শাহীন কলেজের পরিবেশ বেশ সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ইন্সটিটিউটগুলোতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিভিন্ন এন.জি.ও প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ট্রেনিং অথবা খন্ডকালীন চাকুরীর ব্যবস্থা করতে পারে। গ্রামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফিশ প্রসেসিং ইন্ড্রাষ্ট্রি, ফুড প্রসেসিং ইন্ড্রাষ্ট্রি, ব্রেড-বিষ্কুট ফ্যাক্টরী ইত্যাদি হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। শিক্ষিত বেকার যুবকগণ হাস-মুরগী খামার, মৎস্য খামার, মধু চাষ, সিজন্যাল ব্যবসা ইত্যাদি করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বৃহৎ আকারের মৎস্য খামার, হাস-মুরগীর খামার, গবাদী পশুর খামার ইত্যাদি গড়ে উঠা প্রয়োজন এবং এতে বিভিন্ন ধরনের সরকারী প্রনোদনা প্রয়োজন।
শিক্ষিত বেকার সমস্যা আমাদের দেশের একটা বিরাট সমস্যা। দেশের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীগণের দিক-নির্দেশনা, বিভিন্ন সংগঠনের উন্নয়নমুখী কর্মকান্ড, সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগ, সঠিক শিক্ষা পরিকল্পনা, বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ, সঠিক মূদ্রা ও রাজস্বনীতি ইত্যাদির মাধ্যমে ধীরে হলেও শিক্ষিত বেকার সমস্যার সমাধান সম্ভব।
লেখক : অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, সিলেট।