শুভ বড়দিন আজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৩৩:৪১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শুভ বড়দিন আজ। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। দিনটি উপলক্ষে সারা দেশের মতো সিলেটেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। বড়দিনের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)-এর পক্ষ থেকেও নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গত ২২ ডিসেম্বর এসএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিনটি উপলক্ষে সিলেটের গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানো হয়েছে। গির্জার ভেতর বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জায় দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।
সিলেট প্রেসবিটারিয়ান চার্চ’র সভাপতি ফাদার ডিকন নিঝুম সাংমা জানান, বড়দিন উপলক্ষে সিলেট প্রেসবিটারিয়ান চার্চ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। কেক কাটা ছাড়াও আজ রোববার সকাল ১১টায় ও বিকেল ৫টায় বিশেষ উপাসনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া, আগামীকাল সোমবার শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ক্রীড়া অনুষ্ঠানের।
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক মহামতি যিশুর এদিন মাটির এ ধরাধামে আবির্ভাব ঘটে। ২ হাজারের অধিক সময় আগে এদিনে জেরুজালেমের বেথেলহেম শহরের এক গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয়। ধর্ম প্রবর্তকের জন্মদিনটিকে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা তাই ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন। এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। তাই, আজ গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করছেন তাদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব।
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা এতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও চ্যানেলে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
বড় দিনে গির্জাসহ খ্রিস্টানপাড়ায় ঘর-দোর রঙিন বাতিতে উদ্ভাসিত করা হয়। গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা দিয়ে শুরু হয় দিনের। প্রায় সব পরিবারেই থাকে কেক, পিঠা, কমলালেবু, পোলাও-বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও উন্নত মানের খাবার-দাবারের আয়োজন। সবচেয়ে বড় উৎসব হওয়ায় পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মেলবন্ধনও ঘটে। গির্জায় ধর্মীয় গান, কীর্তন, অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। শিশুদের জন্য ক্রিসমাস পার্টিসহ নানা ধরনের আয়োজন থাকে। তবে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে থাকেন সান্তাক্লজ। তিনি আসেন শিশুদের জন্য নানা উপহার ও চমক নিয়ে। এ কারণে সান্তা তার ঝুলিতে করে কী নিয়ে আসবেন-সেই অপেক্ষায় থাকে শিশুরা।