বড়দিনের বাণী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:৪১:২৭ অপরাহ্ন

আজ বড়দিন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যীশুখৃস্টেন জন্মদিন হচ্ছে বড়দিন। বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করা হয় বিশ্বব্যাপি। মূলত খৃস্টীয় উৎসব হলেও এই দিনে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও এতে শরিক হয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুজ্জ্বল করে তুলেন। সময়ের দিক থেকে ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটি একটি ছোট দিন। কারন ২২শে ডিসেম্বর বছরে সবচেয়ে ছোট দিন। কিন্তু গুরুত্বের দিক থেকে দিনটি অনেক ‘বড়’ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। যারা যীশুকে ত্রানকর্তা মুক্তিদাতা বলে বিশ্বাস করে, হৃদয়ে ধারন করে তাদের কাছেই যীশুর জন্মদিন বড়দিন বলে বিবেচিত।
অর্থাৎ আকারে বড় নয়, বরং মহিমা বা গৌরবের দিক থেকে দিনটি অনেক বড়। ইতিহাস বলে ২৫শে ডিসেম্বর তারিখে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হলেও এই দিনটিই যে যীশুর প্রকৃত জন্মদিন তা জানা যায় না। আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যীশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫শে ডিসেম্বর তারিখটিকে যীশুর জন্মতারিখ ধরা হয়। জানা যায়, রোমান সাম্রাজ্যের সময় ৩৬৬ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম বড়দিনের উৎসব পালন করা হয়। পোপ জুলিয়াস প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে বড়দিন উৎসব পালন করার ঘোষণা দেন। সেই থেকে দেশে দেশে এই দিনটি পালন হয়ে আসছে। তবে এর আগে বড়দিনের উৎসব তেমন জাঁকজমকপূর্ণ ছিল না এবং তা ইউরোপের বাইরে ছড়ায়নি। মূলত মধ্যযুগের পরে বড়দিনের উৎসব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মতে, যীশু খৃস্ট মানুষ রুপে জন্ম নেন পৃথিবীর পাপাচার হতে মানুষকে মুক্তি দিতে, মানুষের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে। তাই বড়দিন খৃস্টান ধর্ম ছাড়িয়ে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের কাছে আবেদন সৃষ্টি করেছে ।
যীশু পৃথিবীতে এসেছিলেন প্রেম ও মানবতার সওগাত নিয়। যা আজও মানুষের চলার পথের দিশারী হয়ে রয়েছে। ক্ষমাই ছিলো যীশুর প্রধান বাণী। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তেও যীশু বলেছিলেন- প্রভূ,ওরা জানে না ওরা কী করছে, ওরা অবুঝ ও অজ্ঞান। তুমি ওদের ক্ষমা করে দাও। জন্মদিন মানে আগের ভুলগুলো শুধরে জীবনকে নতুনভাবে সাজানো। যীশুর জন্মদিনে খৃস্টান ধর্মাবলম্বীরা নিজের এবং সকলের কল্যাণ কামনা করে ।