সিলেট প্রেসক্লাবে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন
গোলাপগঞ্জে হামলায় আহত মামুনের অবস্থা সংকটাপন্ন, হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৪৫:৩০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : গোলাপগঞ্জের লক্ষ্মীপাশায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মামুন আহমদের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। হামলার সাথে জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে গ্রেফতার করছে না থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা মামুনের যেকোন সময় মৃত্যুও হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতিতে মামুনের পরিবার রয়েছেন শঙ্কা এবং আতংকে।
গতকাল রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান মামুনের পরিবার ও এলাকাবাসী। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহত মামুনের ভাই জগঝাপ গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে মাসুদ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে মাসুদ বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয়, এলাকায় কোনো ধরণের দাঙ্গা ফ্যাসাদে কখনো জড়াইনি। আমাদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশি নাজিম-মঈন উদ্দিন ও তাদের সহযোগীরা ভূমি দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠেছে। বিভিন্ন সময় তারা প্রাণে মারার হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। পরিবারের চালিকাশক্তি ভাই মামুন আহমদকে ভূমিখেকো সন্ত্রাসীরা টার্গেট করে কুপিয়ে জখম করেছে। তিনি এখন হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
মাসুদ বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে বড় ভাই মামুন বাড়ির সামনে শিম ক্ষেত পরিচর্যা কালে আমাদের নিকটাত্মীয় জগঝাপ গ্রামের মৃত মস্তাকিন আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন, মৃত মছব্বির আলীর ছেলে মঈন উদ্দিন, তার সহোদর ইব্রাহিম আলী ও আবুল হোসেন, আব্দুর রহিমের ছেলে রাফি আহমদ, আবুল হোসেনের ছেলে মাহি আহমদ, আব্দুর রহিমের ছেলে সাফি আহমদ, মোস্তাকিম আলীর স্ত্রী রোকিয়া বেগমসহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে আমার ভাইয়ের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
মাসুদ আরো বলেন, ভাইকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর গোলাপগঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করি। কিন্তু এ পর্যন্ত আসামিদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসামিদের ধরতে থানা পুলিশ তৎপর না হওয়ায় তারা আগাম জামিন নেয়ার সুযোগ পেয়েছে। এমনকি আমিসহ পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে। ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও আসামিদের একজনও এখনো গ্রেফতার হয়নি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়ে ৪নং আসামি আবুল হোসেন, ৫নং আসামি রাফি আহমদ ৬নং আসামি মাহি আহমদ, ৭নং সাফি আহমদ, ৮নং আসামি রোকেয়া বেগম এলাকায় গিয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জামিন নিয়ে বাড়িঘরে যাওয়া আসামিরা প্রকাশ্যে ও লোক মারফতে হুমকি দিয়ে বলেছে ‘একজন ফেলেছি, আরেক ভাইকে ফেলবো, অপেক্ষায় থাকো’।
তাদের হুমকির কারণে আমার মা ফাতেমা বেগমও থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন। কিন্তু মামলার ন্যায় জিডি’র ঘটনায়ও পুলিশের তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তারা হামলা ও নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মাসুদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি নাজিম-মঈন উদ্দিন ও তার সহযোগীদের হাত থেকে তার পরিবারকে রক্ষায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।