গরু-ছাগলের হিসাবে গরমিল, পরিকল্পনামন্ত্রীর ক্ষোভ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৪৬:০৮ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : দেশে গরু-ছাগলের হিসাব নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যে তথ্য দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, গরু মানে দেশের অভ্যন্তরে থাকা সব গরু। ছাগল মানে তো দেশের ভেতরে থাকা সব ছাগল। কিন্তু গরু-ছাগল নিয়ে এত ভাগাভাগি কেন? বিবিএস কেন বাণিজ্যিক খামার বাদ দিয়ে শুধু পরিবারভিত্তিক গরু-ছাগলের তথ্য প্রকাশ করেছে, তার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার ‘কৃষিশুমারি ২০১৯’এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে পরিবারভিত্তিক যেমন গরু-ছাগল পালন করা হয়, তেমনি বাণিজ্যিকভাবেও গরু-ছাগল পালন করা হয়। কিন্তু বিবিএস তাদের কৃষিশুমারিতে বাণিজ্যিক ফার্মের গরু-ছাগলের হিসাব যোগ করেনি। শুধু খানাভিত্তিক গরু-ছাগলের হিসাব যুক্ত করেছে।
বিবিএসের শুমারিতে গরু এবং হাস-মুরগির সংখ্যার সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানের অনেক তফাৎ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ডিএলএস) পরিসংখ্যানে গরু এবং হাস-মুরগির সংখ্যা অনেক বেশি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের ব্যাখ্যায় বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, বাণিজ্যিক গবাদি এবং হাস-মুরগিকে শুমারিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এদিকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বিবিএসের কৃষিশুমারি এত দেরিতে প্রকাশ করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ১০ বছর পরপর কৃষিশুমারি হওয়ার কথা। কিন্তু বিবিএস তা করতে পারছে না। আবার সঠিক সময়েও শুমারির ফল প্রকাশ করতে পারছে না। সঠিক সময়ে শুমারি করতে বিবিএসকে নির্দেশ দেন তিনি।
গরু-ছাগলের তথ্য নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিবিএসের তথ্যের গরমিলের বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় তথ্য দেওয়ার দায়িত্ব বিবিএসের। সরকারের যেকোনো সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। তবে তাদের উচিত সেই তথ্য বিবিএসকে দেখিয়ে নেওয়া। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তা করে না। তারা নিজেরা গরুছাগলের তথ্য প্রচার করে। আমি মনে করি, তাদের উচিত তথ্য প্রচারের আগে বিবিএসকে জানানো। তখন তথ্যগত বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব হবে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে কৃষিশুমারির মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ।