আসছে উষ্ণতম বর্ষ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৩২:৪৪ অপরাহ্ন
আসছে সবচেয়ে উষ্ণতম বর্ষ। ২০২৩ সালটিই হবে রেকর্ড উষ্ণতার বছর। চলমান শীত মওসুমে এই উষ্ণতা নিয়ে ভাবতে মন না চাইলেও বাস্তবতা এটাই। কারণ, দিন দিন বেড়েই চলছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। আর চলতি বছরের তুলনায় আগামি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ সময় পৃথিবীর তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। গবেষকগণ এই পূর্বাভাস দিয়েছেন।
সাধারণত কোন জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদী ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন যার ব্যপ্তি কয়েক যুগ থেকে কয়েক লক্ষ বছর পর্যন্ত হতে পারে, তাকে জলবায়ু পরিবর্তন বলা হয়। এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাসি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তন মানুষকে একটা চ্যালেঞ্জের মুখেই ফেলে দিয়েছে।আর সত্যি বলতে কি, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন বলতে ভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধিকেই বোঝানো হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বাতাস, ইত্যাদি পরিবর্তিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারন হচ্ছে গ্রিনহাউস এফেক্ট। শক্তি উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন, মিথেনসহ নানা ধরনের ক্ষতিকারক গ্যাস বৃদ্ধি পায় এবং এই গ্যাসগুলো আমাদের বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে চলেছে। বাড়ছে উষ্ণতা প্রতি বছরই। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২০২৩ সালে গড়ে ১.০৮ থেকে ১.৩২ সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে। জানা যায়, ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ১৯৫০ সালের পরে ২০১৬ সাল ছিলো সবচেয়ে উষ্ণ বছর। এই উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বরফ গলছে মেরু অঞ্চলের, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সমুদ্রের নিকটবর্তী নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ি অধিক পরিমাণে বৃক্ষ নিধন এবং শিল্প কারখানা স্থাপন। এইসব কারখানা থেকে প্রতিনিয়ত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হচ্ছে। এই গ্যাস পরিবেশ এবং জলবায়ুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অন্যদিকে বৃক্ষের রয়েছে এইসকল ক্ষতিকর গ্যাসগুলো গ্রহণ করে, সেগুলোকে অক্সিজেনে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা। কিন্তু আমরা সেই বৃক্ষ গুলোকেও নিধন করে চলেছি। সর্বোপরি, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ি আমরা মানুষরাই। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অনেক পরিমাণে বৃক্ষ রোপন করতে হবে এবং যে সব শিল্প কারখানা বায়ুতে বিষাক্ত ও ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন করে চলছে, সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।