বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজে পিঠা উৎসব
নতুন প্রজন্মকে দেশীয় বাহারি খাবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পিঠা উৎসব গুরুত্বপূর্ণ : দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:১৭:১২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজে পিঠা উৎসবে মাতলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর ড. রাগীব আলী দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছেন। এর মধ্যে পিঠা অন্যতম। এই পিঠা তৈরি ও উৎসবমুখর পরিবেশে খাওয়া আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ। নতুন প্রজন্মকে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী বাহারি খাবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পিঠা উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের কমনরুমে আয়োজিত পিঠা উৎসবে ৭টি স্টল ছিলো। সকালে এই উৎসবের সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী পর্বে কলেজের অধ্যক্ষ ড. আয়েশা বেগম পিঠা উৎসব আয়োজনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: আবেদ হোসেন ও জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: তারেক আজাদ। এ সময় বেগম রাবেয়া খাতুন নার্সিং কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. নাদিরা বেগম, সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফসহ কলেজের শিক্ষকশিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর ড. রাগীব আলী আরো বলেন, যান্ত্রিক সভ্যতার এই ইট-কাঠের নগরীতে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠার ঐতিহ্য। সময়ের স্রোত গড়িয়ে লোকজ এই শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠলেও এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন অনেকটাই কমে এসেছে। এই সময়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন আমাকে আনন্দ দিয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের উৎসব তথা বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: আবেদ হোসেন বলেন, আমাদের নারীসমাজ পিঠাপুলি তৈরিতে অত্যন্ত নিপুণ এবং সুদক্ষ। এলাকা বেদে ভিন্ন ভিন্ন বা আলাদা রকম পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। নারীরা সেই পিঠার অন্যতম কারিগর। বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজের পিঠা উৎসবে যেন সেই মায়েদের হাতে তৈরি বাহারি পিঠার সমাহার ঘটেছে। তিনি সুন্দর আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: তারেক আজাদ বলেন, হাতে তৈরি পিঠার মজাই আলাদা। বিশেষ করে শীতের সময় বাহারি পিঠার আয়োজন এক অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়। তিনি বলেন, বাঙালির লোক ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। আমাদের এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ড. আয়েশা বেগম, উৎসব আয়োজনে সহযোগিতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
পিঠা উৎসবকে ঘিরে অন্যরকম উৎসবে মেতে উঠেছিলেন নার্সিং কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। ৭টি স্টলে হাতে তৈরি বাহারি পিঠার সমাহার ছিলো। ছাত্র-ছাত্রীরাও নানা রঙে পোশাক পরে উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন।
সবাই মিলে একত্রে পিঠা খেতে খেতে আনন্দঘন পরিবেশে সময় কাটান। পরে দানবীর ড. রাগীব আলী পিঠা উৎসবে স্টলদাতাদের পুরস্কৃত করেন।