সিলেটে জেলা পর্যায়ে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
ইসলাম শান্তি এবং সম্প্রীতির ধর্ম
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৪১:৪৬ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : ছোট ছোট কোরআন পড়ুয়া শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে শেষ হলো সিলেট জেলা পর্যায়ের হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। গতকাল শুক্রবার নগরীর দরগাগেইটস্থ মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সোলেমান হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিলেট ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে মোট ১৮৭ জন শিশু প্রতিযোগি অংশ নেয়। দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শেষে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী, সিলেট কেন্দ্রীয় মসজিদের ভারপ্রাপ্ত মোতওয়াল্লী ও এবিএম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবু বকর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা এ কে এম আতাউল করিম, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, সমাজসেবক আলহাজ্ব কাপ্তান মিয়া, এডভোকেট রেজাউল করিম। মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা আব্দুল মতিন ধনপুরী, মাওলানা সামিউর রহমান মুসা।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম কিউ মইনুল ইসলাম আশরাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন আলেম উলামাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় সিলেট জেলার বিভিন্ন মাদরাসা থেকে ১৮৭ জন শিশু প্রতিযোগি অংশ নেয়। সেখান থেকে প্রতিযোগিতার জন্য ৪৫ জনকে মনোনীত করা হয়।
তার মধ্যে প্রথম বিজয়ীকে ৫০ হাজার, দ্বিতীয় বিজয়ীকে ৩০ হাজার এবং তৃতীয় বিজয়ীর হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ। বাকি ৪২ জনের মধ্যে ৭ জনের প্রত্যেককে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা করে এবং ৩৫ জনকে ২ হাজার টাকা করে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেয়া হয়। নগদ অর্থের পাশাপাশি প্রত্যেক প্রতিযোগিকে হিফজুল কোরআন, রেওয়ালসহ শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট কেন্দ্রীয় মসজিদের ভারপ্রাপ্ত মোতওয়াল্লী ও এবিএম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবু বকর বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম সম্প্রীতির ধর্ম। সেই শান্তি এবং সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় এই কোমলমতি শিক্ষার্থী একদিন এগিয়ে আসবে। যারা পুরস্কার পেয়েছে তারা কোরআন চর্চায় আরো বেশী অনুপ্রাণিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা, এ কে এম আতাউল করিম বলেন, পবিত্র কোরআন আল্লাহতায়ালার বিশেষ নূর এবং উজ্জ্বল কিতাব। এই কোরআন গ্রহণের মাধ্যমে জীবনকে শান্তির পথে পরিচালিত করে। শিশুরা জীবনের শুরু থেকেই কোরআন বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা একদিন সুন্দর সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবে।