ভূমিহীনরা পাবে ফ্ল্যাট
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:৫৬:১২ অপরাহ্ন
ভূমিহীনরা পাবে ফ্ল্যাট। গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারিরা পাচ্ছে এই ফ্ল্যাট। তাদের জন্য সারাদেশের পরিত্যক্ত হাটবাজারে নির্মাণ করা হবে ৪-৫ তলা পাকা ভবন। একেক জনকে দেওয়া হবে ৩৫০-৪০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। ভূমিহীনদের জন্য সরকার গুচ্ছগ্রামে আবাসনের ব্যবস্থা করলেও অনেকে সেখানে থাকেন না। কারণ, কিছু কিছু গুচ্ছগ্রাম জনবসতি থেকে বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত। ফলে তাদের কর্মসংস্থান ও যাতায়াতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের ফ্ল্যাট তৈরি করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দেশে গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ লাখ। সামাজিক শোষণ-বঞ্চনা ও নদী ভাঙার কারণে দিন দিন গৃহহীনের সংখ্যা বাড়ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের অধীনে গৃহ দেওয়া হচ্ছে গৃহহীন পরিবারকে। এর আগে আদর্শগ্রাম প্রকল্পের আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে গৃহহীনদের। বর্তমানে ৫৭ জেলার ১৮২ উপজেলায় গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।ভূমি মন্ত্রণালয় আশা করছে, বহুতল ভবন নির্মাণ করে গুচ্ছগ্রাম করা হলে কম জায়গায় বেশি মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এতে কৃষিজমিও রক্ষা হবে। ওই প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁতি, জেলে, কামার, কুমার, মুচি, শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষের জন্য গুচ্ছগ্রাম করা হবে। সারাদেশ থেকে পরিত্যক্ত হাট-বাজারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রথমত দেশে ভূমিহীনের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হচ্ছেনা; তার ওপর প্রতিনিয়ত নানা কারণে ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাধীনতার পর থেকেই সরকারি খাস জমিতে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। নানা প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারের আমলে চলে আসছে এই কর্মযজ্ঞ। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এইসব উদ্যোগের সফলতা আশানুরূপ নয়। এর সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে, গুচ্ছগ্রামে আশ্রয়গ্রহণকারি পরিবারগুলো নানা কারণে এখানে থাকতে চাচ্ছেনা। তাই এদের জন্য নির্মিত হবে ফ্ল্যাট।
যেকোন প্রকল্প নেয়ার আগে এর সুদূরপ্রসারি ফলাফল যাছাইবাছাই করে দেখা উচিৎ বলেই আমরা মনে করি। সরকার গ্রামে নাগরিক সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তার বাস্তবায়ন এখনও দৃশ্যমান নয়। ভূমিহীনদের পুনর্বাসন প্রকল্পেও রয়েছে নানা অব্যস্থাপনা। আছে অনিয়ম দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণে মহৎ সব উদদ্যোগই ব্যর্থ হয় যাচ্ছে। সুতরাং প্রকল্প গ্রহণের আগে এ কে দুর্নীতিবাজদের খপ্পর থেকে বাঁচাতে হবে।