আওয়ামী লীগ : ভাসানী থেকে শেখ হাসিনা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৫৬:৩২ অপরাহ্ন
মো. দিলওয়ার হোসেন বাবর
এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যে কয়েকটি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন হলো আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের জন্ম ও তার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় স্থান দখল করে আছে আওয়ামী লীগ। বিংশ শতাব্দীতে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন হলো মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন ও সার্বভৌম লাল সবুজের বাংলাদেশ। এই অর্জনে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বাঙালি জাতির মুক্তির দূত, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ ও অবদান যেমন সবার ঊর্ধ্বে, তেমনিভাবে সংগঠন হিসেবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অবদানও অন্য সকল, সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সংস্থার ঊর্ধ্বে। ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের আয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬১ সালের শাসনতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪ সালের শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালের আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অবশ্য প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নামছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে এর নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম হয় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই দেশের উন্নতি, সমৃদ্ধি, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতার অন্তর্ভুক্তির স্বীকৃতি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম, সুখ্যাতি ও পরিচিতি সবকিছুই অর্জিত হয়েছে এই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরাতন ঢাকার টিকাটুলির কে এল দাস লেন রোডের রোজগার্ডেন প্যালেসে পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়। ঐ সভায় তখন ৩০০ জনপ্রতিনিধি যোগদান করে। সভায় উপস্থিত ছিলেন এ. কে. ফজলুল হক, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, কামরুদ্দিন আহমদ, মওলানা রাগীব আহসান, আতাউর রহমান খান, শামসুল হক, ইয়ার মুহাম্মদ খান, তাজউদ্দিন আহমদ, খান সাহেব ওসমান আলী, খয়রাত হোসেন, শেখ আব্দুল আজিজ, অলি আহাদ, আরিফ হোসেন চৌধুরী, এম মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমদ, আনোয়ারা খাতুন, কফিল উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুস সালাম খান, আব্দুল জব্বার খদ্দর প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, দলীয় এম. এল. এ মওলানা রাগীব আহসান। এই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নিরাপত্তা বন্দি। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি ও শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিমলীগের প্রথম সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতার ফলে জেলে কারাবন্দি অবস্থাতেই তাকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
১৯৫৩ সালের ৩ থেকে ৫ জুলাই মুকুল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৫ সালের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর রূপ মহল সিনেমা হলে দলের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। এই সম্মেলনে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন যথাক্রমে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৫৭ সালে ৪র্থ সম্মেলনের আগে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। ১৩ জুন আরমানিটুলার নিউ পিকচার হাউসে এবং পরের দিন গুলিস্তান সিনেমা হলে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৪ সালের ৬ থেকে ৮ মার্চ দলের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৬৬ সালের ১৮ থেকে ২০ মার্চ হোটেল ইডেনে আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজউদ্দিন আহমদ। ১৯৬৮ সালের ১৯ ও ২০ অক্টোবর হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত হয় দলের সপ্তম জাতীয় সম্মেলন এই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগারে বন্দি। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও তাজউদ্দিন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয় অষ্টম জাতীয় সম্মেলন। ৪ জুন থেকে ৫ জুন হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজউদ্দিন আহমদ।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ৭ থেকে ৮ এপ্রিল সার্কিট হাউজ রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় নবম জাতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে এই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন এ এইচ এম কামরুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জিল্লুর রহমান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ায় তার অবর্তমানে ১৯৭৭ সালের ৩ থেকে ৪ এপ্রিল হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে দলে ১১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আহ্বায়ক নির্বাচিত হন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালের ৩ থেকে ৫ মার্চ হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় দলের ১২তম জাতীয় সম্মেলন। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন আব্দুল মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুর রাজ্জাক।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করে। তখন আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সবার মাঝে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। এমতাবস্থায় ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ১৩তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। সম্মেলনে দলীয় ঐক্যের ও অস্তিত্বের প্রয়োজনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাঁকে দলের সভাপতি ও আব্দুর রাজ্জাককে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরে ১৯৮২ সালে আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ ত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
১৯৮৭ সালের ১ থেকে ৩ জানুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে দলের ১৪তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। পরে ১৯৯৬ সালের ১৯ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত দলের ১৫তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জিল্লুর রহমান।
সুদীর্ঘ ২১ বৎসর পর জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তখন ১৯৯৭ সালের ৫ থেকে ৭মে আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ১৬তম সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও জিল্লুর রহমান। ২০০২ সালে পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ১৭তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আব্দুল জলিল।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবারও দ্বিতীয় বারের মতো রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় অবতীর্ণ হয়। এমতাবস্থায় ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় দলের ১৮তম জাতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় দলের ১৯তম জাতীয় সম্মেলন। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি পুননির্বাচিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুননির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে ১০ম বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া ও তার সুযোগ্য রাজনৈতিক উত্তরসূরি, বাংলাদেশের বার বারের নির্বাচিত সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তৃতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
সুতরাং আমরা দেখতে পাই যে, বাংলাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী মোট ৩ বার আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মোট ৪ বার সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাছাড়া মওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ ২ বার এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আব্দুল মালেক উকিল ১ বার করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আর সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন ১ বার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত মোট আটজন বিভিন্ন সময়ে সুদিন ও দুর্দিনে আওয়ামী লীগের হাল ধরে বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া এই দেশের মাটি ও মানুষের এই সংগঠনটি এই পর্যন্ত টিকিয়ে রেখে অধিকতর জনপ্রিয় করে গড়ে তুলেছেন। তবে সর্বাপেক্ষা বেশি অর্থাৎ ৯ম বারের মতো সফলভাবে সভাপতির নেতৃত্ব দিয়ে সর্বশেষ ১০ম বারের মতো নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা প্রত্যাশা করছি তার সফল ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরও দুর্বার গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে।
লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।