মৌলভীবাজার-শমশেরনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক
সেতু ভেঙে ১৭ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:৪১:১৭ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সেতু ভেঙে ১৭ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মৌলভীবাজার-শমশেরনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ৩ উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ। বিশেষ করে পর্যটক এবং চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে মালামাল পরিবহনকারী গাড়ি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। বর্তমানে অনেক জায়গা ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়েই সাধারণ মানুষ শহরে আসছেন।
এদিকে, সেতু ভেঙে যাওয়ার পর মেরামতের উদ্যোগ নেয় মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ১২ দিন পর ৩০ ডিসেম্বর মেরামত শেষে চালু হতে না হতেই কয়লাবোঝাই ট্রাক পারাপারের সময় সেতুটি ফের ভেঙে পড়ে। এতে যান চলাচল পুনরায় বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টদের বরাতে জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ মেরামত কাজ সম্পন্ন করে গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে ভারি যানবাহন ছাড়া হালকা যান চলাচলের অনুমতি দেয়। সেদিন বিকেল থেকে হাল্কা যান চলাচল শুরু হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ধ্যায় কয়লাবোঝাই একটি ট্রাক সেতু পারাপারের সময় সেটি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে মৌলভীবাজারের সঙ্গে যান চলাচল ফের বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিকল্প সড়কে চা বাগান ঘুরে যানবাহন চলছে। এ ঘটনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন ট্রাকটি আটক করে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী কবি আব্দুল হাই ইদ্রীসি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া ও সময় দিতে হচ্ছে। অনেক কষ্টও হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার বেড়াতে আসা শাহাদাত স্বপন বলেন, পর্যটন এলাকায় এরকম সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, মধ্যখানে সেতু মেরামত করা হয়েছিল। ছোট গাড়ি চলাচল শুরু করেছিল। কিন্তু আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়লাবোঝাই ট্রাক সেতু পারাপারের সময় পুনরায় সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জরুরিভিত্তিতে ফের মেরামতের কাজ চলছে। এই স্থানে নতুন সেতুর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে ধলাই নদীর ওপর চৈত্রঘাট এলাকায় সেতুটি নির্মিত হয়। মৌলভীবাজার জেলা শহর ছাড়াও শমশেরনগর চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক ও সেতু। কমলগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়ন এবং কুলাউড়া উপজেলার ৩ ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক ও সেতু দিয়ে জেলা সদরে যাতায়াত করেন।