অর্থনৈতিক সংকট ও মানবিক বিপর্যয়
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন
রায়হান আহমেদ তপাদার
ক্ষুধার আগুনে পুড়ছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। যাদের জীবনে দিনে একবারও খাবার জুটে না। এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। নানা সংকটে এই সংখ্যা বেড়েই চলছে। ক্ষুধার্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যের অনিশ্চয়তাও তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে বিশ্বে। বর্তমানে বিশ্বের প্রতি তিনজন মানুষের একজন এই অনিশ্চয়তার শিকার। গত দুই বছর ধরে করোনা মহামারির প্রভাবে বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্তের হারে উল্লম্ফন ঘটেছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির এক বছরেই বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বেড়েছে ১৮ শতাংশ, যা গত কয়েক দশকে দেখা যায়নি। এদিকে নতুন করে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান ইতোমধ্যে একটি ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। এটি বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি আরো কিছু বিপর্যয় ডেকে আনবে। এই বিপর্যয়গুলো তিনভাবে অনুভূত হবে। বর্তমান শস্যের চালানে ব্যাঘাত, ইউক্রেন ও রাশিয়ায় কম খাদ্য শস্যের কম ফলন বা ভবিষ্যৎ ফসলের অপ্রাপ্যতা এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে উৎপাদন হ্রাস পাওয়া। এর ফলে খাদ্য ও জ্বালানির এই উচ্চ মূল্য বিশ্বব্যাপী অন্যান্য পণ্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি, মূল্যস্ফীতিকেও বাড়িয়ে তুলবে। আর বাড়িয়ে তুলবে অর্থনৈতিক সংকট ও মানবিক বিপর্যয়। বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত সারের ২৫ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় এখন তাও বন্ধ। যার প্রভাবও পড়ছে বৈশ্বিক কৃষি ব্যবস্থাপনায়। ফলে আফ্রিকা কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো দেশ নয়, খাদ্য সংকটে পড়ার তীব্র শঙ্কা রয়েছে খোদ ইউরোপের। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা এফএও জানিয়েছে এমন শঙ্কা। সংস্থাটি বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভেঙে গেছে গম ও ভুট্টা সরবরাহে শীর্ষে থাকা দেশ দুটির শস্য উৎপাদন ও রফতানির অবকাঠামো।
ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে ইউরোপের দেশগুলোতে। খাদ্যের দাম এখন রেকর্ড উচ্চতায়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রণীত বৈশ্বিক খাদ্য সূচক প্রতি মাসেই নতুন উচ্চতায় উঠছে। মূলত ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর খাদ্যের দাম কেবল বাড়ছেই। বিশ্বব্যাংক বলছে, খাদ্যসংকটের কারণে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। খাদ্যের এই উচ্চমূল্যের কারণে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারে। সেই সঙ্গে কমবে পুষ্টির মান। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব, খাদ্যের দাম ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এতে গরিব মানুষ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এরা যেমন একদিকে খাদ্য ব্যয় কমাবেন, অন্যদিকে বেশি দামে খাদ্য কিনতে গিয়ে পড়াশোনার পেছনে তাঁদের ব্যয় কমে যাবে। গরিবদের ওপর খাদ্য ব্যয় বৃদ্ধির এই প্রভাবের কারণে এই সংকটও একধরনের অন্যায্য রূপ নেবে, কোভিড-১৯ যেমন নিয়েছে। এটা মানবিক বিপর্যয়, পুষ্টির মান পড়ে যাবে। আবার যেসব দেশের সরকার এ বিষয়ে কিছু করতে পারবে না, তাদের জন্য বিষয়টি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এ জন্য তারা দায়ী নয়, কিন্তু আঁচ তাদের গায়েও লাগে। এবারের এই খাদ্যসংকট বহুমুখী। সব ধরনের খাদ্যের ওপর এর প্রভাব পড়ছে, ভোজ্যতেল, শস্য থেকে শুরু করে কিছুই বাদ পড়ছে না। তবে গমের সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এর কারণ সম্পর্কে নতুন কিছু বলার অবকাশ নেই, ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গম রপ্তানি কারক দেশ। এবার যখন গমবীজ বোনার সময় এল, তখনই শুরু হলো যুদ্ধ। বৈশ্বিক রুটির ভান্ডার হিসেবে পরিচিত ইউক্রেনে এবার বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি থেকে যাবে। তবে যুদ্ধের আগেও বৈশ্বিক খাদ্য মজুত পর্যাপ্ত ছিল। কিন্তু বিক্রয় প্রক্রিয়ায় সমন্বয় না থাকায় সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
করোনা মহামারির পর বাণিজ্য প্রবাহে ব্যাপক প্রসার ডিসটিলেট জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক সংকটে জোগান দিয়েছে। আগামীতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার বা মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে এ সংকট। শিল্পোৎপাদন, জাহাজীকরণ, পণ্য পরিবহন, খনিজসম্পদ উত্তোলন এমনকি কৃষিপণ্য উৎপাদনে ডিজেল ও গ্যাস অয়েলসহ ডিসটিলেট জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার পাশাপাশি এসব জ্বালানির প্রাপ্যতা কমছে। তথ্য বলছে, মহামারির প্রভাব ও বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় ২০২১-২২ বছরে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা ব্যাপক গতিশীল হয়ে ওঠে। এর ফলে পরিশোধন কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতার চেয়েও বেশি চাহিদা দেখা দেয় ডিজেলসহ ডিসটিলেট জ্বালানির। ফলে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায় এসব জ্বালানির মজুদ আশঙ্কাজনক হারে কমে যায়। এর ফলে সৃষ্ট সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্পোৎপাদনসহ অর্থনীতির সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বিশ্ব দিন দিন অধিকতর মেরুকৃত হয়ে উঠছে। সামাজিক বিভেদ ও সংঘাত বাড়ছে। চলমান সংঘাতগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কথাবার্তা শুনে মনে হবে তারা তাদের প্রতিপক্ষদের নিশ্চিতভাবে পরাস্ত করার মাধ্যমে তাদের মিত্রদের খাদ্যঘাটতির মতো বড় সমস্যা থেকে উদ্ধার করতে পারবে। কিন্তু আমরা বর্তমানে যে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হচ্ছি, তা তাদের দাবিকে ভুল প্রমাণ করছে। আধুনিক বিশ্ব যে পারস্পরিক নির্ভরতার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তা এ সংকট প্রমাণ করে দিয়েছে।এ সংকট আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে, আমরা আর আমরা বনাম তারা গোছের বাগাড়ম্বর চালিয়ে যেতে পারি না। কারণ, আমাদের ভালো থাকা তাদের কর্ম তৎপরতার ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল। আমরা এমন একটি বিশ্বে বাস করছি, যেখানে পূর্ব ইউরোপের একটি সংঘাত মেনা অঞ্চলের ক্ষুধার মুখে ফেলে দিতে পারে। ফলে এ সংকট সমাধানের এবং জীবন রক্ষা করার উপায় হলো বৈশ্বিক সংহতি এবং সহযোগিতা বাড়ানো। সুতরাং ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক খাদ্য ও জ্বালানির বাজারে এ যুদ্ধের বিধ্বংসী প্রভাব মোকাবিলায় জাতিসংঘের উচিত বিশ্বব্যাপী ট্রিপল নেক্সাস পদ্ধতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শনকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখা। ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক পরিণতি মোকাবিলা করতে জাতিসংঘের সব সংস্থা, প্রতিটি জাতীয় সরকার, সাহায্য সংস্থা এবং দাতাদের উচিত সমন্বয় ও সহযোগিতা করার চেষ্টা করা, যাতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার তাৎক্ষণিক প্রয়োজন গুলো পূরণ করতে পারে এবং তাদের এ ধরনের জন্য আরও স্থিতিস্থাপক হতে সাহায্য করতে পারে। ২০২২ সাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাম্প্রতিক স্মরণকালের সবচেয়ে খারাপ খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হচ্ছি। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ভাষ্য অনুযায়ী, এ মুহূর্তে বিশ্বে প্রতি রাতে ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যাচ্ছে।
২০১৯ সালে লাগাতার ভাবে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তা হীনতার মুখে ছিল ১৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৩৪ কোটি ৫০ লাখে, অর্থাৎ দ্বিগুণের বেশিতে পৌঁছেছে। আর অনাহার ও অপুষ্টিতে মরতে বসা মানুষের সংখ্যা ৫ কোটিতে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী বছরটি নজিরবিহীন মাত্রার ক্ষুধার বছর হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে। এ সংকট একেবারে শূন্য থেকে পয়দা হয়নি। কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেনের যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মিলিত পরিণতি, বিঘ্নিত সরবরাহ শৃঙ্খল ও ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি থেকে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে পর্যাপ্ত খাবার জোগাতে অক্ষম করে ফেলছে। যদিও এই খাদ্যসংকট নিঃসন্দেহে বিশ্বব্যাপী, কিন্তু এটি সবাইকে একইভাবে প্রভাবিত করছে না। ইতিমধ্যে সংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং চরম দারিদ্র্যের মধ্যে ভুগছে এমন কিছু দেশও সাম্প্রতিকতম এ সংকটের সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মুখে পড়েছে। উদাহরণ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের কথা বলা যায়। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে খাদ্যনিরাপত্তাহীন দেশগুলোর মধ্যে থাকা সিরিয়া এবং ইয়েমেনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।এমনকি মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের আগেও এই অঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছিল। ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং মহামারি সারা বিশ্বের সরবরাহ শৃঙ্খলকে নষ্ট করেছে, যার কারণে প্রয়োজনীয় শস্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং পণ্যের দাম ও জ্বালানির ব্যয় নজিরবিহীন ভাবে বেড়েছে। এটি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলজুড়ে সবচেয়ে মৌলিক খাদ্যপণ্যের সংকট তৈরি করেছে। ইয়েমেন ও লেবাননের মতো যে দেশগুলো ইতিমধ্যে সংঘাত বা অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছিল, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২১ সালে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা ও পরিবহন খরচ এবং ২০২১ সালে বেলারুশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে সারের দাম ইতো মধ্যেই তিনগুণ বেড়েছে, যা বিশ্বে পটাশের ১৮ শতাংশ উৎপাদন করে।
পরামর্শক সংস্থা ক্রু’র হামফ্রে নাইট সতর্ক করেছেন, যেহেতু রাশিয়া পটাশের বৈশ্বিক উৎপাদনের ২০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে, নিশ্চিতভাবে এর মূল্য আরো বাড়বে এবং তাই এই মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব বিশ্বের প্রতিটি কৃষি অঞ্চলে অনুভূত হবে। এছাড়াও খাদ্য সংকটের এই ধাক্কাটি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কিছু অংশে সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হবে, যেখানে প্রায় ৮ কোটি মানুষ কৃষ্ণ সাগরের গমের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। এর মধ্যে রয়েছে তুরস্ক, যা দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরের বেশিরভাগ অংশে ময়দা সরবরাহ করে। মিসর সাধারণত তার ৭০ শতাংশ গম রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে ক্রয় করে। বাকি ৩০ শতাংশের অর্ধেকই একা লেবানন গম আমদানি করে। ইউক্রেনের ভুট্টা, সয়াবিন এবং উদ্ভিজ্জ তেল ছাড়া অন্য অনেকেই খুব কাজ চালাতে পারে।ভার্দে এগ্রিটেকের ক্রিস্টিয়ানো ভেলোসো বলেন, মাংস এবং কৃষি পণ্যের অন্যতম বিশাল উৎপাদক ব্রাজিল রাশিয়া বা বেলারুশ থেকে তার পটাশের ৪৬ শতাংশ আমদানি করে। সার এবং জ্বালানির উচ্চতর মূল্য সর্বত্র কৃষকদের প্রান্তিক আয়কে সঙ্কুচিত করবে এবং অবশেষে এই ব্যয়ভার ভোক্তাদের ঘাড়ে চড়াও হবে। নিকট ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বগ্রাসী রূপ ধারণ করতে পারে, তার পূর্বাভাস ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য চরম খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রনেতারা যথেষ্ট ভাবিত। অবশ্য ২০০ বছর পূর্বে অর্থনীতিবিদ থমাস মালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বে খাদ্যাভাব জর্জরিত ভবিষ্যৎ বিশ্বের রূপ চিত্রায়িত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে ক্রমপ্রকটমান খাদ্য সংকটকে প্রত্যক্ষভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পর্যালোচনা করা যদিও ঠিক নয়। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পায়ন-নগরায়ন কীভাবে খাদ্য সংকটে এক ভয়াবহ মাত্রার সংযোজন ঘটিয়ে চলেছে সেটিই প্রতিপাদ্য বিষয়।
লেখক : কলামিস্ট।