সড়কে সর্বোচ্চ মৃত্যু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:৩৩:০৩ অপরাহ্ন
সড়কে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। গত বছর ১০ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে সড়কে। ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে; যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের বার্ষিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। এই সময়ে দেশে ছয় হাজার ৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। একই সময় রেলপথে ৬০৬ টি দুর্ঘটনায় ৫৫০ জন নিহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২৬২ টি দুর্ঘটনায় ৩৫৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া, নৌ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছে ৭৪৩ জন।
থামানো যাচ্ছে না সড়কে মৃত্যুর মিছিল। সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নসহ নানা উদ্যোগ নেয়া সত্বেও সড়কে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে প্রচুর। অনেকে অনেক কথাই বলছেন। দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ। কিন্তু যাদের শোনার কথা তারা নির্বিকার। যে যেভাবে পারছে রাস্তায় চলাচল করছে;ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়কে কেউ নিয়ম মানছে না। ছোটবড় সব ধরণের যানবাহন দুর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মোটর সাইকেলের দুর্ঘটনা বেড়েছে আশংকাজনক হারে। চালকদের মধ্যে এ ধারণা তৈরি হয়েছে যে, দুর্ঘটনা ঘটলে টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করা যায়। যে কারণে চালকদের বেপরোয়া মনোভাব আরও প্রকট হচ্ছে। আর সড়কে দুর্ঘটনার যতোগুলো কারণ রয়েছে, তার মধ্যে আছে প্রথমেই বেপরোয়া গাড়ি চালানো। আসল কথা হলো দুর্ঘটনা কমাতে হলে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে হবে। সচেতন হতে হবে চালক যাত্রি পথচারিদের। বিভিন্ন স্থানে সড়কে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করার প্রবণতা তৈরি করতে হবে। দুর্বল আইনের কারণেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না। শুধু ট্রাফিক বিভাগের প্রচেষ্টা নয়, মানুষের মধ্যেও আইন মানার প্রবণতা বাড়াতে হবে।
প্রথমত সড়ক নিরাপত্তায় যে আইন করা হয়েছে সেটা মূলত যাত্রি পথচারি নয়, বরং যানবাহন মালিক চালকদের স্বার্থেই করা হয়েছে। তাছাড়া আইন সেভাবে কার্যকর নেই। সড়কে শৃংখলা নিয়ে আসতে হলে বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, যাত্রি ও পথচারিদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো ট্রাফিক আইন অমান্য করা, সড়কে চাঁদাবাজি, রাস্তার পাশে হাট-বাজার, চালকের নিয়োগ ও কর্মঘন্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা,মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশার চলাচল বন্ধ করতে হবে।