শাবিতে সমাজকর্ম বিভাগের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
সমাজ উন্নয়নে প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রভাব রয়েছে ——- মো. শহীদুল হক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন
শাবি প্রতিনিধি : সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসিআর বঙ্গবন্ধু চেয়ার মো. শহীদুল হক বলেছেন, সমাজ উন্নয়নে প্রযুক্তির উন্নয়নের প্রভাব রয়েছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সামাজিক উন্নয়নকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করে তুলেছে। জলবায়ু পরিবর্তন যেমন মানুষের জন্য একটি হুমকি, তেমনি পপুলিজমের উত্থান মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ। মানুষ যদি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম না হয়, তবে সম্ভবত একটি অকার্যকর বৈশ্বিক এবং জাতীয় সমাজ গড়ে উঠবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের আয়োজনে দ্বিতীয় বারের মতো ‘সমাজকর্ম ও টেকসই সমাজ উন্নয়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি পপুলিজমের উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে পছন্দ না করেন, আপনি যদি আমার মতো কথা না বলেন, আপনি আমার দলে নেই। আপনি আমার শত্রু। যা পপুলিজম তৈরি করে। রাজনৈতিক পরিচয়ের উপর ভিত্তি করেও পপুলিজম তৈরি হয় যা সামাজিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদেরকে সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখতে এ বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।’
সম্মেলনের মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক তাহমিনা ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান, ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়ার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ শাহারুদ্দিন সামসুরিজান, ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের স্কুল অব সোশ্যাল ওয়ার্কের অধ্যাপক ড. পি কে শাজাহান ও আমেরিকার মনমাউথ ইউনিভার্সিটির সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মাতবর, শাবির সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম মাহবুবুজ্জামান এবং সম্মেলন সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্রিফিং করেন সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ১৪টি দেশের ২৫০ জন গবেষকের ১৬৬টি নিবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এতে সশরীরে ২টি ও অনলাইনে ২টি কী-নোট অধিবেশন এবং অনলাইনে চারটি অধিবেশনসহ সর্বমোট ২৮টি প্যারালাল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।