বিশ্বনাথের যুবকের সাথে জার্মান শিক্ষিকার ‘রাজকীয় বিয়ে’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:৫৪:০১ অপরাহ্ন
এমদাদুর রহমান মিলাদ, বিশ্বনাথ থেকে: জার্মানীর স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মারিয়া। সুদূর জার্মান থেকে ছুটে এসেছেন বিশ্বনাথ পৌরশহরে। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পছন্দের মানুষ আব্রাহাম হাসান নাঈমের সঙ্গে। পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আব্রাহাম বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজকীয় আয়োজনে সারা হয় আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। তবে, এই বিয়েকে ঘিরে আব্রাহামের বাড়িতে গত শুক্রবার থেকে চলছে আনন্দ-উৎসব ও ভূরিভোজ। জার্মান নাগরিক মারিয়াকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক লোকজন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সাথে পরিচয় হয় আব্রাহাম হাসান নাঈমের। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভলোবাসার সম্পর্ক। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেন আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার। প্রথমে মারিয়া আব্রাহামকে জার্মানীতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজী হননি আব্রাহাম। এক পর্যায়ে গত ২৩ ডিসেম্বর পছন্দের মানুষ আব্রাহামের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মারিয়া। এরপর, মুসলিম রীতি অনুযায়ী দু’জনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এদিকে,আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ে উপলক্ষে পারিবারিকভাবে রাজকীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো বাড়ি। আমন্ত্রণ জানানো হয় শ্রীধরপুর গ্রামসহ আশপাশ গ্রামের নারী-পুরুষ সবাইকে। রাজকীয় এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত এলাকাবাসী। তাদের অনেকেই জানান, বিশ্বনাথে এ ধরণের রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান খুব কমই দেখা যায়। সকল আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রম।
আব্রাহামের চাচাতো ভাই আবদুল বাতিন জানান, ‘মারিয়া জার্মানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে গবেষণা করছেন। খুব শিগগির জার্মান থেকে মারিয়ার মা-বাবা বাংলাদেশে আসবেন।’
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় খুবই খুশি আব্রাহাম হাসান নাঈম-মারিয়া দম্পতি। এক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, ‘সারা জীবন যেন আমরা এক সাথে থাকতে পারি। সে জন্যে সকলের দোয়া চাই।’
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান জানান,‘প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথে অনেকেরই বিয়ে হয়। জার্মান শিক্ষিকার সাথে বিশ্বনাথের বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান ওসি।