বিপিএল এর নবম আসরের উদ্বোধন
সিলেট ও রংপুরের দুর্দান্ত সূচনা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক : গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল এর নবম আসর। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স এর খেলার মধ্য দিয়ে মাঠে গড়ায় বিপিএল। প্রথম খেলায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এর বিরুদ্ধে সহজ জয়ে টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেটের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের নৈপুণ্যে বড় জয় পায় সিলেট। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর রংপুর রাইডার্স মুখোমুখি হয়। কুমিল্লাকে ৩৪ রানে পরাজিত করে বিপিএল আসরে উড়ন্ত সূচনা করে রংপুর।
বিপিএল এর উদ্বোধনী দিনে হাজারও ক্রিকেটপ্রেমীর কলতানে মুখর ছিল শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। প্রথম ম্যাচে দর্শক একটু কম ছিল। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই ধীরে ধীরে শেরে বাংলা দর্শক কলতানে মুখর হতে থাকে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। টসে জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিলেট দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। সিলেটের আমির-রাজার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্যাট করতে নেমেই চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম। দলীয় ১১ রানে ওপেনার মেহেদী মারুফের (১১) রানআউটের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বিপর্যয় শুরু হয়। এরপর দারউইস রাসুলিকে মুশফিকুর রহীমের ক্যাচ বানান সিলেটের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম ও উসমান খানকে সাজঘরে পাঠান রেজাউর রহমান রাজা। ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে চট্টগ্রাম। আফিফ হোসেনের ২৩ বলে ২৫ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮৯ রান তুলতে সমর্থ হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেটের পক্ষে রেজাউর রহমান রাজা নেন ১৪ রানে ৪ উইকেট। ৭ রানে ২ উইকেট নেন আমীর। মাশরাফী ও থিসারা পেরেরা নেন ১ টি করে উইকেট। চট্টগ্রামের দেওয়া ৯০ রানের মামুলি লক্ষ্যে ১২ দশমিক ৩ ওভারেই পৌঁছে যায় সিলেট। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৪১ বলে ৪৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন, তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কা। তিনে নামা জাকির হাসান খেলেন ২১ বলে ২৭ রানের ইনিংস। মুশফিকুর রহীমের অপরাজিত ৬ রানে ভর করে ৪৬ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩৪ রানে পরাজিত করেছে রংপুর রাইডার্স। প্রথমে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই কুমিল্লার বোলারদের ওপর চড়াও হন রনি তালুকদার। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রংপুর ৬৪ রান তোলে বিনা উইকেটে। ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে বিপিএলের সবচেয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন রনি। শেষ অবধি ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ৬৭ রান সাজঘরে ফিরেন রনি।
ইনিংসে বিধ্বংসী শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার নাঈম শেখ ও রনি তালুকদার। তাদের জুটি ভাঙে ৮৪ রানে এসে। উদ্বোধনী সঙ্গী নাঈম ৩৪ বলে ২৯ রান করে ফজল হক ফারুকীর বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি সিকান্দার রাজা। ১০ বলে ১২ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। ২৬ বলে ৩৩ রান করে রান আউট হয়ে যান শোয়েব মালিক। অধিনায়ক সোহান অপরাজিত থেকে ১১ বলে করেন ১৯ রান। রংপুর পায় ১৭৬ রানের সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে কুমিল্লা উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসের সঙ্গে সৈকত আলিকে পাঠায়। ১২ বলে ১০ রান করে রাকিবুল হাসানের বলে লিটন ফিরলে তাদের ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। ২১ বলে ১৬ রান করে ফেরেন সৈকত। পরে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৯ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন ডেভিড মালান। এরপর মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ইমরুল কায়েস। তাদের দুজনের জুটিতে আসে ৫৮ রান। ২৩ বলে ৩৫ রান করে ইমরুল কায়েসকে আজমাতুল্লাহ ওমারজাই ফেরালে জুটি ভেঙে যায়। এরপর আর বেশিদূর আগাতে পারেনি কুমিল্লা। ৯ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। রংপুরের পক্ষে ৩ ওভার ১ বলে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।
আজকের খেলা : দুপুর ২টায় ঢাকা ডমিনেটর্স ও খুলনা টাইগার্স এবং সন্ধ্যা ৭টায় ফরচুন বরিশাল ও সিলেট স্ট্রাইকার্স পরস্পরের মুখোমুখি হবে।