ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : আহত ৬
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটায় অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে কর্মী সভাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জেরে ক্যাম্পাসের পাঁচটি আবাসিক হল থেকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন অহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, আবাসিক হল থেকে দুই পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালকসহ হল প্রভোস্টদের উপরও ছাদ থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাব্বির মোল্লা বলেন, সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে কোন প্রকার সাধারণ সভা না করে ও সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় আমাদের মতামত কে উপেক্ষা করে কর্মী সভার আয়োজন করে। তারপরও আমারা যারা মনে প্রাণে ছাত্রলীগ করি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করি তারা কর্মী সভায় অংশগ্রহণ করতে গেলে আমাদের উপর আশিকুর রহমানের অনুসারীরা হামলা করে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান অভিযোগ করেন, কোন ধরণের উস্কানি ছাড়াই শরীফ হোসাইন, সাব্বীর মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থবির করে রাখতে এই হামলার ঘটনা বলে দাবি আশিকের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মনিরুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদীয় ছাত্রলীগের কর্মীসভা আয়োজনের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
শাহপরান থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ জাহান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। পুলিশ ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছে। এখন পরিস্থিতি শান্তর দিকে। যেহেতু আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছি হতাহত সম্পর্কে এখনো কিছু বলতে পারছি না।