শামসুর রহমান স্মৃতিবৃত্তি বিতরণ
সিলেটের শিক্ষার উন্নয়নে সকলে মিলে কাজ করতে হবে -প্রফেসর হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:২০:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের শিক্ষার উন্নয়নে সকলে মিলে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি।
গতকাল শনিবার শামসুর রহমান স্মৃতি প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা সুফি সোহেল আহমদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন-বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক জাবেদ আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা শেখ ফারুক আহমদ ও আশরাফুল আম্বিয়া লায়েক। নাট্যকার আফজাল আহমদের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জিবলু রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি আরো বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটের বিদ্যমান পশ্চাদপদতা কাটাতে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। বিত্ত-বৈভব অনেকের থাকলেও সাহসিকতা থাকে না। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শামসুর রহমান ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সুফি সুহেল আহমদ প্রবাসে থাকলেও তার হৃদয় পড়ে থাকে সিলেটে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পড়াশোনা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে তোমাদের মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। নেতিবাচক নয়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা সবসময় ইতিবাচক কিছু প্রত্যাশা করি।
ব্যাংকার জাবেদ আহমদ বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গঠনে আজকের শিক্ষার্থীরাই নেতৃত্ব দেবে।
সাংবাদিক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকুরিতে সিলেটের প্রার্থীদের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি হতে উত্তরণে বৃত্তিপ্রাপ্তদের ভূমিকা রাখতে হবে।
শামসুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সুফি সুহেল আহমদ বলেন, আমাদের কার্যক্রম কেবল শিক্ষাবৃত্তিতেই সীমাবদ্ধ নয়। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান আছে। তিনি কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে-শিক্ষক শাহাব উদ্দিন শিহাব, অভিভাবক মাহবুবুল আলম ও পারভীন আক্তার, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী জারিফ বক্তব্য রাখেন। কোরআন তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক ইলিয়াস আকরাম।
পরে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫ম ও ৮ম শ্রেণির ৩৮৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে সনদপত্র ও সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।