আঞ্চলিক কর্মশালায় তথ্য প্রকাশ
দেশে প্রায় ৫.৩৪ লাখ হেক্টর জমিতে কন্দাল ফসল চাষ করা হয়
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:০১:০৮ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি ঢাকার আয়োজনে গতকাল রোববার নগরীর ধোপাদিঘীরপারস্থ ডিএই সিলেটের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিএই সিলেট অঞ্চল সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোশাররফ হোসেন খাঁন। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প, ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান।
তিনি বলেন, যে সকল ফসলের কাণ্ড বা শিকড় কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জমা হওয়ার কারণে স্ফীত হয়ে রূপান্তরিত হয়, সেগুলোকে কন্দাল ফসল বলে। গুরুত্বপূর্ণ কন্দাল ফসলসমূহের মধ্যে রয়েছে- আলু, মিষ্টি আলু, গাছ আলু বা মেটে আলু, কাসাভা, পানিকচু, লতিরাজি কচু, মুখী কচু ও ওল কচু। দেশে প্রায় ৫.৩৪ লাখ হেক্টর জমিতে কন্দাল ফসল চাষ করা হয় এবং বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ১২১ লাখ মেট্রিক টন। অধিক শর্করা থাকার কারণে অনেক দেশেই কন্দাল ফসল প্রধান খাদ্য এবং সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি আলু, মিষ্টি আলু, পানিকচু, মুখীকচু এবং এগুলোর প্রক্রিয়াজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। মানসম্পন্ন কন্দাল ফসল উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। কন্দাল ফসলসমূহ ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ ও খনিজ পদার্থসহ অনেক পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ থাকে। তাই, কন্দাল ফসল দেশের উৎপাদিত খাদ্য ঘাটতি এবং পুষ্টির অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মার্চ ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০২৩ প্রকল্প বাস্তবায়নকালে প্রকল্প ব্যয় ১৫৬৩১.৮৯ লক্ষ টাকা (জিওবি)। দেশের ৬০টি জেলার মোট ১৫০টি উপজেলা কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
তিনি আরো বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রকল্প এলাকায় কন্দাল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে এ ধরনের ফসলের জমির পরিমাণ ২০-২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা। উন্নত জাতের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, বীজ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিদেশে কন্দাল ফসল রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
ডিএই সিলেট অঞ্চল সিলেটের উপপরিচালক ড. কাজী মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আকবরপুর মৌলভীবাজারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হায়দর আলী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ সিলেটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, বিএডিসি সিলেটের যুগ্ম পরিচালক (বীজ বিপণন) সুপ্রিয় পাল।
কর্মশালায় প্রকল্পভুক্ত সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের ৫টি জেলার উপ-পরিচালক, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপ-পরিচালকবৃন্দ, ১৪টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি এবং উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।