জমি রেজিস্ট্রি সম্পন্ন ॥ সিলেটে বসেই এফসিপিএস ১ম পর্বের পরীক্ষা দেয়া যাবে
নগরীর শেখঘাটে বিসিপিএস কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:২৫:১৪ অপরাহ্ন

ডা: এস.এম. আসাদুজ্জামান জুয়েল ॥ সিলেটে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নগরীর শেখঘাটে ৯৫ শতক ভূমিতে স্থাপিত হবে এ কেন্দ্র। গতকাল সোমবার এ ভূমির রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।
রেজিস্ট্রির সময় ভূমির মালিককে নগদ অর্থ প্রদানের পর জমির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। রেজিস্ট্রেশনের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বি.সি.পি.এস ঢাকার বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তাবৃন্দ ও ঢাকা থেকে আগত অন্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাস্থ্য শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হচ্ছে-বিসিপিএস। এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর জানুয়ারী ও জুলাই সেশন থেকে সার্জারী, গাইনী, মেডিসিন সহ অন্যান্য ডিসিপ্লিনের বিপুল সংখ্যক মেধাবী চিকিৎসক এফ.সি.পি.এস ও এম.সি.পিএস; ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জনের পর দেশের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ সহ অন্যান্য চিকিৎসা অঙ্গনে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত ‘বি.সি.পি.এস’ সেন্টারটির অবস্থান কেবল ঢাকায়। স্বাধীনতার ৫১ বছর অতিক্রান্ত হলেও ঢাকার বাইরে এর কোন শাখা ছিল না। বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য উন্নয়ন খাতে এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে গত প্রায় দু’বছর ধরে সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম-এ ৩টি পৃথক বি.সি.পি.এস সেন্টার খোলার জন্য তৎপরতা শুরু হয়। রাজধানীর মূল কেন্দ্রের পর সারাদেশে এটি দ্বিতীয় কেন্দ্র।
এই কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হলে এফ.সি.পি.এস ১ম পর্বের পরীক্ষা সিলেটে বসেই দেয়া যাবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের আর ঢাকায় যেতে হবে না।
এদিকে জমি রেজিস্ট্রি অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় বি.এম.এ নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় স্বাচিপ নেতাদের আমন্ত্রণ না জানানোয় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, সিলেটে বিসিপিএস কোর্স চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিসিপিএস এর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সদ্য প্রাক্তণ মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত নিউরো সার্জন ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।