সিলেট প্রেসক্লাবে নির্যাতিতার সংবাদ সম্মেলন
জকিগঞ্জে আলামত নষ্ট করে ধর্ষণ মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:২৯:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জকিগঞ্জে আলামত নষ্ট করে ধর্ষণ মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি ঘটনার ৫ মাস পর ভুয়া তারিখ দেখিয়ে এজাহার পাল্টে গোপনে চার্জশিট প্রদান করারও অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারের এক টেইলার্সের মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দা এক নারী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের চৌধুরী প্লাজায় তার লেডিস টেইলার্সে গত বছরের ২ এপ্রিল ভবন মালিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে কালক্ষেপণ করেন ওসি। ঘটনার ৫ মাস পর সেই ওসি আবার তাকে ডেকে নিয়ে মামলা রুজু করেন। কিন্তু পূর্বে দাখিল করা এজাহার পরিবর্তন করে ধর্ষণের কথা বাদ দিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা নেন তিনি। আবার তদন্ত কর্মকর্তা বাদিকে না জানিয়ে ৩১ অক্টোবর চার্জশিটও দেন। এ অবস্থায় তিনি প্রতিকার চেয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কাছে অভিযোগ দাখিল করেন।
লিখিত বক্তব্যে ওই নারী আরও বলেন, জকিগঞ্জ থানায় গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি মোশাররফ হোসেনের কাছে অভিযোগ জানালে তিনি এসআই মোহন রায়কে দিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসতে বলেন। এজাহার লেখার পর স্বাক্ষর দিতে বলেন মোহন রায়।
নির্যাতিতা জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর থানায় ওসি তাকে ডেকে নিয়ে মামলার বিষয়ে একটি সংশোধনী দেয়ার কথা বলেন এবং জোরপূর্বক তিনটি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। ৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ চেষ্টা মামলা রুজু করেন ওসি। চার্জশিটে বাচ্চুর সহযোগী বাছিতকেও আসামি করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের ও পরিবারের চরম অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম গঠন করে সরেজমিন তদন্তপূর্বক ধর্ষণ ও তার সহযোগিতাকারী এবং ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণের অপরাধের ধারা সংযোজন করে আদালতে একটি সম্পূরক চার্জশীট দেয়ার দাবি জানান ওই নারী।