ছাতকে বৈদ্যুতিক টাওয়ারের এঙ্গেলসহ ৮ চোর আটক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৯:০৯:৩১ অপরাহ্ন
ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : ছাতকে বৈদ্যুতিক টাওয়ারের এঙ্গেলসহ ৮ চোরকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিভিন্ন সময় ছাতক ও সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই মালামালসহ তাদের আটক করা হয়। গতকাল শনিবার সকালে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- শহরের বাঁশখালা এলাকার আরব আলীর পুত্র আব্দুস ছালাম (৩০), ফজর আলীর পুত্র লেচু মিয়া (৩৫), আকবর আলীর পুত্র আবুল কাশেম (২৬), চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার গন্ডারিয়া ইউনিয়নের গন্ডারিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান ছাতক শহরের নোয়ারাই এলাকার মৃত দিলোয়ার হোসেনের পুত্র ফজলুল করিম ওরফে বড়দা (৪৭), দোয়ারা বাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরসিংহ গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান দক্ষিণ মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র কাশেম মিয়া (৪৭), ছাতক শহরের বাগবাড়ী এলাকার আমির মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন (৪৭) ও রমজান মিয়া (৪৫) এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের বাঘা গ্রামের শামছুল হকের পুত্র মারজান মিয়া (২৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ছাতক-সিলেট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন টাওয়ার থেকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট এঙ্গেল চুরি হওয়ার ঘটনায় ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাতক গ্রিডের প্রকৌশলী স্বাক্ষর তালুকদার। অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার ভোর রাতে ছাতক থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে খুন, ডাকাতি, চুরি, চাঁদাবাজী, অস্ত্র, মাদকসহ ২২ মামলার আসামী শহরের বাঁশখালা এলাকার আব্দুস সালাম, লেচু মিয়া ও আবুল কাশেমকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যমতে থানা পুলিশ সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছোট-বড় ২৮টি চোরাই বৈদ্যুতিক এঙ্গেলসহ ফজলুল করিম, কাশেম মিয়া, আনোয়ার হোসেন, রমজান মিয়া ও মারজানকে আটক করে। ছাতক গ্রিডের প্রকৌশলীর দেয়া অভিযোগ ১৩ জানুয়ারী মামলা হিসেবে (নং-০৪) রেকর্ড করে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে ছাতক থানার ও,সি তদন্ত আরিফ হোসেন ৮ চোর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।