বিশ্বনাথে নিজ বাড়িতে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:১০:০৭ অপরাহ্ন

বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বনাথে নিজ বাড়ির বসতঘরে ‘বাইশঘর মুহিবুন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের মৃত মনোয়ার চৌধুরীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। এলাকায় কোনো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় সেই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল তার দীর্ঘদিনের। তাই, তিনি এলাকার মেয়েদের শিক্ষা প্রসারের কথা চিন্তা করে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে বিকল্প ধারার ‘কুলা’ প্রতীকে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী তার নিজ বসত বাড়ির বসত ঘরেই বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে নবাগত ১৬জন মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে স্কুলব্যাগ ও স্কুলড্রেস বিতরণ করেছেন। এছাড়াও এসকল শিক্ষার্থীর ফি ছাড়া ভর্তি ও ২০২৩ সালের পুরো এক বছরের বেতনও ফ্রি রেখেছেন। তবে ভবিষ্যতে বসতঘরে এই স্কুল থাকবে না। বাড়ির পূর্বপাশে তার দানকৃত ৪৯ শতক ভূমিতে ভবন নির্মাণের পর হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও নিজের ৭৮শতক ভূমিতে একটি মহিলা মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হিফজ খানা প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশেনের মধ্য দিয়ে স্কুলের উদ্বোধন করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লেখক ও কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুর রহমান চৌধুরী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ফজলুল হক। আরও বক্তব্য রাখেন এলাকার মুরুব্বি মাস্টার সুলেমান আলী, সেবুলুর রহমান, স্কুল পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজম্মিল আলী ও প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা খানম সুবেনা। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন স্কুলের শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার নাদিয়া।