অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনার পর মুফতি কাজী ইব্রাহিমের সাজা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:১১:৫৯ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম।
গতকাল সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম জুলফিকার হায়াত আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শুনালে আদালতে দোষ স্বীকার করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, “সোমবার এই মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। অভিযোগ গঠনের সময় আসামিকে মামলার অভিযোগ পড়ে শুনানো হলে আসামি দোষ স্বীকার করেন। পরে বিচারক মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে আসামি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাভোগকেই সাজা হিসেবে গণ্য করেন।”
তিনি আরও বলেন, “আসামি গ্রেপ্তারের পর হতে এক বছর তিন মাস ১৯ দিন কারাগারে রয়েছে। যতদিন কারাগারে আছেন ততদিনই আসামিকে সাজা দিয়েছেন আদালত।”
এর আগে, ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। হিসেব করলে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের পর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তার এক বছর তিন মাস ১৯ দিনের কারাবাস হয়। যা দণ্ড হিসেবে গণ্য করেন আদালত।”
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলেন, “কাজী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ ধারাগুলোর সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। যেহেতু তিনি দোষ স্বীকার করেছেন, তাই বিচারক সন্তুষ্ট হয়ে তার কারাভোগটাই সাজা হিসেবে দিয়েছেন।”
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কাজী ইব্রাহিম তার বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও খুতবার সময় মিথ্যা-উসকানিমূলক ও ভীতিপ্রদর্শন সম্বলিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করেন। প্রচারিত ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে উসকানিমূলক ভিডিওগুলোতে প্রচারিত বক্তব্য তার নিজের বলে স্বীকার করেন।