ব্যয় বন্ধ নয়, সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় বন্ধ নয় বরং সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দ্রুত কাজ করেন। খরচ কম করেন। তবে, খরচ বন্ধ করা যাবে না। একান্ত প্রয়োজনীয় ব্যয় করতেই হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বলেছেন, কাজের মান বাড়ান এবং খরচ কমান। কিন্তু খরচ বন্ধ করবেন না। এছাড়া উৎপাদন বাড়াতে হবে। যে যেখানে, যেভাবে আছেন তাদের কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে একনেক বৈঠকে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতি খুব খারাপ নয়। এ ক্ষেত্রে রিজার্ভ গত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩২ বিলিয়ন ডলার ছিল। সেটি স্থিতিশীল আছে।
কর্ণফুলী টানেলের খরচ বাড়লো ৩১৫ কোটি টাকা
ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আবারও বাড়ছে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খরচ। এবার এই প্রকল্পের খরচ বাড়ছে ৩১৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদও। দ্বিতীয়বারের মতো প্রকল্পটি সংশোধনে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ঠিকাদারের বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন আমদানি খাতে খরচ বাড়ছে প্রায় আড়াই’শ কোটি টাকা। ফলে সব মিলিয়ে এখন এই প্রকল্পে খরচ হবে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা।
একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় সেতু কর্তৃপক্ষ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘কর্ণফুলী টানেলসহ একনেক সভায় সব মিলিয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো- চট্টগ্রামের পটিয়ার শ্রীমাই নদে বাঁধ নির্মাণ, বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাসকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় প্রকল্প, মাতারবাড়ী কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (সওজ অংশ), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ, বাংলাদেশের ২৪টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্প ও ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট ফেজ-২ (খুলনা) প্রকল্প।’
২০১৫ সালে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি যখন পাস হয়, তখন এই প্রকল্পের খরচ ছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। তখন এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম দফা সংশোধন করে খরচ ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। মেয়াদ বেড়ে যায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখন আবার খরচ বাড়ানো হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থ দিচ্ছে।