হবিগঞ্জে আগুনে পুড়ে প্রসূতি ও প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:০৯:৩৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জে আগুনে পুড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মাধবপুরে তুষের আগুনে পুড়ে সদ্য সন্তান প্রসব করা গৃহবধূ এবং আজমিরীগঞ্জে নিহত হয়েছেন মানসিক প্রতিবন্ধী। গতকাল মঙ্গলবার পৃথক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
মাধবপুর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, মাধবপুরে সদ্য সন্তান প্রসব করা গৃহবধূ অর্পিতা বণিক (২২) তুষের আগুনের তাপ নিতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বৌদিকে আগুন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে দেবর আগুনে ঝলসে গেছেন। টানা পাঁচদিন শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে মারা যান। একই হাসপাতালে দেবর শুভ বণিক (২৮) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাধবপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আব্দুল হাকিম জানান, মাধবপুর পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের দীপক বণিকের স্ত্রী অর্পিতা বণিক গত ১৩ জানুয়ারি সকালে ঘরের বারান্দায় বসে একটি মাটির পাত্রে তুষ জ্বালিয়ে শরীরে আগুনের তাপ নিচ্ছিলেন। এসময় অসাবধানতাবশত তার পরনের কাপড়ে আগুন ধরে শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়। শোর চিৎকারে দেবর শুভ দৌড়ে এসে বৌদিকে আগুন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনিও দগ্ধ হন। স্বজনরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় অর্পিতা ও শুভকে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থেকে অর্পিতা বণিক গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে মারা যান। তবে, শুভ শঙ্কামুক্ত অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে স্বজরা জানিয়েছে। নিহত অর্পিতা বণিক ১৪ দিন আগে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। মাধবপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে আজমিরীগঞ্জে আগুনে পুড়ে জাবেদ মিয়া (৩০) নামে মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোররাতে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ঘরদাইর বড়হাটী গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জাবেদ মিয়া ঘরদাইর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ মিয়ার পুত্র। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুক আলী জানান, জাবেদ মিয়া মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। পিতার আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানসিক প্রতিবন্ধী জাবেদ মিয়া তার বসতঘরে একাই বসবাস করতেন। গতকাল ভোররাতে জাবেদ মিয়ার বসতঘরে আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা আজমিরীগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পুলিশ বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় স্থানীয়রা নদী থেকে শ্যালো পাম্পের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে জাবেদ মিয়া ও তার বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যান।
বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নবকুমার সিংহ জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। অগ্নিকান্ডের কারণ হিসেবে সিগারেটের আগুন দ্বারা সৃষ্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।