সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
ছাতকের ফকির টিলায় জমি জবর দখল করতে একটি মহল সক্রিয়
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:১৯:০৩ অপরাহ্ন
ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : ছাতকে ফকিরটিলা মৌজায় বিজিবি ক্যাম্পের পাশে চেলা ও সুরমা নদীর তীর সংলগ্ন ২৬ শতক ভূমি নিয়ে ফকিরটিলা গ্রামের একপক্ষ ও বাগবাড়ি গ্রামের একপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দু’পক্ষের লোকজন। যেকোন সময় ওই জমি নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ ভূমি নিয়ে আদালতে ২টি মামলাও দায়ের করেছেন বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুস শহিদ।
মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে থানা পুলিশ ভূমিতে স্থিতাবস্থা জারি করেছে। এরপরও ফকির টিলা গ্রামের একটি পক্ষ ভূমি জবর দখলের বিভিন্ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুস শহিদ ছাতক প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। তিনি জানান, ১৯৭৭ সনে ৬৬০০ নং দলিলে বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুস সোবহান ও একই সনে ৬৪৭৯ নং দলিলে আব্দুস সোবহানের পুত্র ভানু মিয়া ২৬ শতক ভূমি ক্রয় সূত্রে মালিক ও দখলকার। তারা দীর্ঘদিন এ ভূমিতে বালু-পাথর ডাম্পিং করে ব্যবসা করেছেন। আব্দুস সোবহান মারা যাওয়ার পর উত্তরাধিকার সূত্রে তার পুত্রগণ ভূমির মালিক হয়েছেন। কিন্তু গত ২ বছর ধরে বালু-পাথর ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ায় ওই ভূমি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে ফকির টিলা গ্রামের ফারুক মিয়া, ইলিয়াছ মিয়া, বাহারুল হক, এস এম কয়েছসহ কতিপয় লোকজন ভূমিতে ইট-বালু ডাম্পিং ও জমি ভাড়া দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এতে আপত্তি জানান, আব্দুস সোবহানের পুত্র আব্দুস শহিদ। প্রতিপক্ষের লোকজন এখন ওই মূল্যবান ভূমির দখল ছাড়তে নারাজ। তারা স্থায়ীভাবে ভূমি দখলে নিতে নানা ধরনের পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। একাধিক বার ওই ভূমি তাদের কাছে বিক্রি করারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
আব্দুস শহিদ জানান, তাদের নামে নামজারিকৃত শারপিন টিলা সংলগ্ন নদীর পাড়ের ভূমি দখলে নিতে কাঁটাতারের বেড়াও দিয়েছে প্রতিক্ষের লোকজন। তারা বার বার তার কাছে বিভিন্নভাবে চাঁদাও দাবি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। গত ৭ জানুয়ারি তাদের ভূমি দেখাশোনা করতে যান। ওই সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি আব্দুস শহিদ বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট আদালতে ফকিরটিলা গ্রামের ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ভূমিতে অটো স্ট্যান্ড বসিয়ে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা আদায় এবং ভূমি মালিকের কাছে চ্াঁদা দাবির অভিযোগ এনে ফকির টিলা গ্রামের ফারুক মিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ৯ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের আমলগ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন আব্দুস শহিদ।