অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে পড়ালেখার পাশাপাশি সহ-শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বিদ্যমান —- দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : অসংখ্য শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী বলেছেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ থাকে। এরপরেও যারা সহ শিক্ষা কার্যক্রমে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে নিশ্চয় তারা অত্যন্ত মেধাবী। তারা সকলক্ষেত্রে নিজেকে তুলে ধরছে। কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের একগুঁয়েমি মনোভাব দূর করতে শিক্ষার্থীদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে সহ-শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বিদ্যমান।
গতকাল বুধবার সিলেটের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দানবীর ড. রাগীব আলী এসব কথা বলেন।
কলেজের ১নং লেকচার গ্যালারিতে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্পোর্টস কমিটির চেয়ারম্যান কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.কে.এম. দাউদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন-জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবেদ হোসেন, হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ তারেক আজাদ এবং রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার ও দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সম্পাদক আব্দুল হাই। স্পোর্টস কমিটির পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তানভীর আহমদ পাভেল। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ২৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহবুবে এলাহী। অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস তানহা ও জুবায়দা জায়েদ প্রভা।
অনুষ্ঠানে দানবীর ড. রাগীব আলী আরো বলেন, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা সকল ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও তাদের সুনাম রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রাইভেট মেডিকেল বলতেই কোন একটি ভবনে পড়াশোনা এমনটাই বুঝায়। কিন্তু, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। চা বাগানের মনোরম পরিবেশে মেডিকেলে পড়াশোনার দৃশ্য হয়তো এই সিলেটেই প্রথম। কলেজের রয়েছে বিশাল মাঠ। যেখানে আউটডোরে খেলার পরিবেশ বিদ্যামান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অবারিত সুযোগটিকেও কাজে লাগাতে হবে। আমি সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে তোমাদের চাওয়া পূরণ করে যাবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে-জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মোঃ আবেদ হোসেন বলেন, কোভিডের কারণে ৩ বছর শুধু ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়, সহ-শিক্ষা, সভা সিম্পোজিয়ামও করা যায়নি। তিনি বলেন, শিগগিরই আউটডোর গেমস শুরু হবে। এভাবে স্পোর্টস কমিটির মতো সকল কমিটিকে পুরোদমে সক্রিয় করতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যতই পড়াশোনার চাপ থাকুক অন্তত নিজে সুস্থ থাকার জন্য খেলার মাঠেও সময় দিতে হবে। কারণ এতোবড় মাঠ অন্তত অন্য কোন বেসরকারি মেডিকেলে নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ তারেক আজাদ বলেন, সহ শিক্ষা কার্যক্রমে বরাবরের মতোই শিক্ষার্থীরা সাফল্য দেখাচ্ছে। শিক্ষকরাও স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছেন। মেডিকেলে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখাতে নিশ্চয় ভালো ভূমিকা রাখবে।
রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার ও দৈনিক সিলেটের ডাক এর সম্পাদক আব্দুল হাই বলেন, খেলাধুলা শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে না মনেরও খোরাক যোগায়। এজন্য পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলা বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করতে শেখায়। একই সাথে পরাজয়কে মেনে নেয়াও শেখায়। তাই সকলের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সহ শিক্ষায়ও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে স্পোর্টস কমিটির চেয়ারম্যান কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.কে.এম. দাউদ বলেন, প্রায় ৩ বছর বিরতির পর ইনডোর গেমসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে অংশগ্রহণমূলক ভূমিকা রেখেছেন, তাতে আমাদের উৎসাহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। শত ব্যস্ততার মধ্যে খেলা সম্পন্ন করতে যারা সহযোগিতা করেছেন সকলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মাসব্যাপী পরিচালিত অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।