তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি জ্বলছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ৯:০৯:১৮ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি চলছে। গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে এ গোলাগুলি শুরু হয়ে রাত পর্যন্তও চলছে বলে জানা গেছে। এছাড়া তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন, আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়। এতে অন্তত হাজারখানেক বাড়ি-ঘর পুড়ে যায়। তার আগে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা পরিবার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় নেয়।
গতকাল বিকেলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, মিয়ানমারের আরাকান রোহিঙ্গা স্যলভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সকাল থেকে গোলাগুলি শুরু হয়। তারা কোনারপাড়া শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় র্যাব সদস্যরাও গুলিবর্ষণ করে বলে জানান তিনি।
দিল মোহাম্মদ বলেন, দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গোলাগুলির ঘটনায় ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তুমব্রু সীমান্তে সকাল থেকে অব্যাহত গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সেখানে কী হচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, হামিদুল্লাহ (২৭) ও মহিবুল্লাহ (২৫) নামের দুই গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে আনা হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক হামিদুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। মহিবুল্লাহকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সন্ধ্যার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে তুমব্রু শূণ্য রেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন এখনও জ্বলছে। ওই ক্যাম্পে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের অনেকেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে গেছেন। গোলাগুলির শব্দ আগের চেয়ে বেড়েছে।’