স্মার্ট বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:২৪:০৯ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ আব্দুল হক
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অবকাঠামোগত সুবিধাসমূহ সরকারের বক্তৃতায় ও উদ্বোধন করা স্থাপনায় দৃশ্যমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বক্তব্য দিয়ে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের সীলমোহর লাগিয়ে এখন সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশ আগামী দিনে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ শব্দগুলো আমাদের সামনে দূরে অপেক্ষারত উন্নয়নের মাইল ফলকের মতো হাতছানি দিয়ে আশায় ডাকে এবং আমরাও আশায় দৌড়াই। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা সদ্য প্রস্তুত এবং এখনও স্মার্ট বাংলাদেশের পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে তা নিয়ে আলোচনা করতে চেষ্টা করবো এখানে। কিন্তু, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা অনেক আগে থেকে প্রায় দেড় যুগ ধরে হয়ে আসছে এবং এই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শব্দযুগল এখন রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রামের প্রান্তে বসবাসরত পড়তে না জানা বাংলাদেশের বাঙালি, মণিপুরী, সাঁওতাল, গারো সহ সকল বাংলাদেশির কাছে পৌঁছে গেছে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশের আশার স্টেশনকে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা করার সময় এসেছে এবং আলোচনা হচ্ছে এবং একই সাথে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন বাংলাদেশ হয়ে উঠার একান্নটা বছর পেরিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মৌলিক অধিকার কতোটা ভোগ ও উপভোগ করতে পারছে সেদিকেও মনোযোগ দিয়ে দেখতে শুরু করেছেন সচেতন মানুষ।
প্রথমেই দৃষ্টি দেই সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ঘোষণার দিকে। পিছনে ফিরে দেখি ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণায় কি ছিলো। বাংলাদেশের জনগণের সামনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শব্দ দুটি প্রথম উচ্চারিত হয় ২০০৮ খ্রীস্টিয় সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরে সে লক্ষ্য নিয়ে কিছু পরিকল্পনা সাজায়, যার একটি ছিলো ২০২১ খ্রীস্টিয় সালের মধ্যে সকল সড়কের টোল আদায় হবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং এতে করে টোল প্রদানের জন্যে রাস্তায় কোনো যানবাহনকে থামতে হবে না এবং যাত্রী সাধারণের সময় বাঁচার পাশাপাশি দূর হবে যানজট। কিন্তু; ২০২২ খ্রীস্টিয় সালের শেষে দেখা গেছে, উক্ত লক্ষ্য পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের বড়ো বড়ো উৎসবের সময় যখন সারা দেশের মানুষ ছুটি কাটাতে গাড়ি নিয়ে যাত্রা করে তখন দেখা যায় উৎসব শেষ হয়ে গেলেও যানজটে আটকা পড়ে অনেক মানুষের ছুটি উপভোগ করা হয় না। এ ব্যাপারটা যে কেবল মাত্র উন্নত প্রযুক্তির ঘাটতির জন্যে হচ্ছে না তা- নয়, বরং এ বিষয়ে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে। সেজন্যে প্রয়োজন ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় মনোযোগ বাড়ানো। এই কাজটি সঠিকভাবে হয়নি বলে সময়ের অপচয় হচ্ছে এবং সড়কের বিশৃঙ্খলা চোখে পড়ছে। এদেশে এখনও গাড়ির ড্রাইভার জানে না, স্পীড ব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিং এর গুরুত্ব, বরং, স্পীড ব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিং সামনে এলে গাড়ির গতি যেখানে কমানোর কথা সেখানে গাড়ির গতি আরও বেড়ে যায়। এর কারণ, উপযুক্ত মানসিক প্রশিক্ষণ না দিয়ে লাইসেন্স প্রদান করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার দেড়যুগ পরেও অধিক গতির জন্যে কিংবা কালো ধূয়া বের হওয়ার জন্যে পুলিশ রাস্তায় গাড়ি আটকিয়ে জেরা করে। অথচ এ বিষয়টি ডিজিটাল হলে গাড়ির নাম্বার প্লেট অনুযায়ী ঠিকানায় মামলার কাগজ পৌঁছানোর কথা। হ্যাঁ, স্বীকার করতে হচ্ছে বেশ কিছু বিষয় ডিজিটাল ঘোষণার প্রাথমিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। হ্যাঁ, ডিজিটাল বাংলাদেশের এক অনন্য উদাহরণ হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডিজিটাল সংস্করণ যা এখন স্মার্ট কার্ড হিসেবে আমরা বহন করছি। এই একটি মাত্র কার্ডে নাগরিকের সকল তথ্য পাওয়া যায়। এখানেই প্রশ্ন জাগে, যেখানে একটি স্মার্ট কার্ডে একজন নাগরিকের সকল তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে, সেখানে কেন এখনও বিভিন্ন কাজে অফিসে নাগরিকদেরকে সত্যায়ন বা প্রত্যয়ন পত্র পাওয়ার জন্যে বহুবিধ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
২০২৩ খ্রীস্টিয় সালের শুরুতে বাংলাদেশের জনগণের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য, অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, বিনামূল্যে সরবরাহ করা বইয়ে ত্রুটি, চিকিৎসা, সড়কের অব্যবস্থাপনা, শীতে বিপর্যস্ত মানুষ, পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি, জন্ম নিবন্ধন পেতে জটিলতা, বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো, বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সিটি কর্পোরেশন সহ সকল নগরীতে অবৈধভাবে দখল করা খাল ও সরকারি জায়গা, সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের গুলিতে হতাহত, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী উত্থান, বান্দরবানে জঙ্গী গোষ্ঠীর সন্ধান ইত্যাদি বিষয়ের সাথে নতুন সংযুক্ত হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয় ছাড়া উপরে উল্লেখিত বিষয় সমূহ বাংলাদেশের মানুষের মাঝে বিগত পনেরো বছর ধরে সবসময়ই আলোচনায় উঠে এসেছে এবং এই বিষয়গুলো প্রকৃত অর্থে কোনো ভালো সমাধানের দিকে যায়নি। হ্যাঁ, বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেখলে বলা যায়, বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ জঙ্গী তৎপরতা রুখে দিতে যথেষ্ট ভালো করেছে। এছাড়া বাকী বিষয়গুলোতে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়েও দিনে দিনে হযবরল অবস্থা বিরাজমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা সাথে রেখে দেখতে পাই, আমরা রীতিমতো দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার পরেও একটি পাসপোর্ট করতে গেলে আমাদেরকে আবার পুলিশের কাছ থেকে নিশ্চিত করতে হয় যে, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি কোনো দেশদ্রোহী নই। দৃষ্টি দেই সড়কে ট্রাফিক সিস্টেমের দিকে। যদিও বিজ্ঞানের বিশ্বময় উন্নয়নের ছোয়ায় ‘ডিজিটাল নেপাল’ ঘোষণা না দিয়েও নেপালের টেকোপাচালি নদী তীরবর্তী অঞ্চলের অতি সাধারণ মানুষের হাতেও মোবাইল ফোন পৌঁছে গেছে এবং নেপালের কাঠমান্ডুতে ট্রাফিক সিস্টেমের উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে ঢাকঢোল পিটিয়ে আমাদের সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার প্রায় দেড়যুগ পাড়ি দিয়ে এলেও আমাদের রাজধানী শহর ঢাকা, বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ সহ সকল বড়ো নগরীতে ট্রাফিক পয়েন্টে পুলিশকে হাতের ইশারায় ও লাঠির ইশারায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে যখন সাধারণ মানুষের সাথে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়, তখন ভুক্তভোগী জনসাধারণ বলেন, শুধু মুখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বললে তো হয় না। বাস্তবে তো সেই আগের মতোই চলছে। স্মার্ট বাংলাদেশ কিভাবে হবে জানি না। কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার এতোগুলো বছর পরেও আমরা এখনও সিগনাল বাতির ট্রাফিক সিস্টেমের দেখা পাইনি।’
এখন দেখা যাক স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা কেমন এবং সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের প্রস্তুতি কি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ খ্রীস্টিয় সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেছেন, তাঁর সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে কাজ করে যাচ্ছে।’ এরপর থেকে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে পূর্বের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং সদ্য ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে। স্মার্ট বাংলাদেশ হলো শিক্ষা ক্ষেত্রে সবচেয়ে উন্নত দেশের সাথে চলা, স্মার্ট বাংলাদেশ হলো ব্যবসা ক্ষেত্রে সবচেয়ে উন্নত দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা, স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে চিকিৎসা ও অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সমসাময়িক উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তিতে স্বনির্ভর এক ঝলমলে বাংলাদেশ। আমরা জানি, আমাদের সরকারে থাকা নেতানেত্রী থেকে শুরু করে ধনাঢ্য প্রায় সকলেই চিকিৎসার জন্যে ছুটে যান সিঙ্গাপুর, লন্ডন ইত্যাদি উন্নত দেশে। আমরা জানি, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে। এ বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে না নিলে কিভাবে সম্ভব স্মার্ট বাংলাদেশ।
স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিককে চিন্তায়, চেতনায় ও উপস্থাপনায় হতে হবে সহনশীল, সুশৃঙ্খল, উদার, গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক। আর এসব কিছুর অর্জন সম্ভব হবে শিক্ষা ও উন্নতমানের বিজ্ঞান নির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, গ্রামের লোকালয়ে লাঠিসোটা নিয়ে যেভাবে উনবিংশ শতকের সত্তর বা আশির দশকে মারামারি হতো সেরকম মারামারি চলে এখনও আমাদের দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। অথচ এখান থেকেই উন্নত শিক্ষা বিকশিত হওয়ার কথা। এখনও হাসপাতালে রোগী রেখে নার্সদের চলে ধর্মঘট। এখনও শিক্ষকদেরকে সংসার চালানোর জন্যে সামান্য সুযোগ বাড়ানোর জন্যে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে লজ্জা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এমনই দুর্বোধ্য শিক্ষাঙ্গন ও চিকিৎসাঙ্গন যে দেশে, সে দেশে কি আমরা উন্নত মানসিকতার স্মার্ট মানুষ পাবো? যদি মানুষই মানসিকতায় উন্নত না হয় তাহলে কি শুধু উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত পাবলিক টয়লেট, ঝলমলে বাতির শহর দিয়ে একেরপর এক নগরী দৃশ্যমান হলেই ডিজিটাল কিংবা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা বাস্তবায়ন হবে? ভাবতে হবে।
সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ খ্রীস্টিয় সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। স্মার্ট বাংলাদেশ কিভাবে হবে? যেহেতু মানুষের দ্বারাই সকল কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে, সেজন্যে প্রয়োজন মানুষের প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও সেই সাথে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন দরকারী সব প্রযুক্তি। আমরা অর্থনীতিতে বৈদেশিক রেমিট্যান্স দিয়ে কিছুটা ভালো করছি বলে বিদেশ থেকে প্রযুক্তি নিয়ে আসছি এবং কাঠামো গড়ে তোলে তাতে প্রযুক্তি স্থাপন করছি। বাহ্যিকভাবে প্রকাশ হচ্ছে, আমরা প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হচ্ছি। এদিকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় দেখা যায় প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়াও সহজ ও সুন্দর করতে পারছি না। আমাদের বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধার মূল্যায়ন হয় না। এখানেও ভর্তি হতে হয় লটারি পদ্ধতির (প্রাচীনতম পদ্ধতিও এমন ছিলো না) মাধ্যমে। অনেক ক্ষেত্রে পত্রিকা মাধ্যমে জানতে পারা যায় এবং টেলিভিশন চ্যানেলে জানা যায়, দেশের কোনো কোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদেশ থেকে উন্নত প্রযুক্তি এলেও দক্ষ চালনাকারী না থাকার কারণে তা চালু হচ্ছে না। এমন অবস্থা হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে। এ অবস্থা হতে মুক্ত হতে হলে প্রথমেই মনোযোগ দিতে হবে যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থায়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ শতভাগ সফলতা পাক এবং সরকারের সাথে সাথে আমরাও চাই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। যেহেতু মানুষের জন্যেই এবং মানুষের কর্মদক্ষতার দ্বারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, তাই প্রথমেই প্রয়োজন স্মার্ট মানুষ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন স্মার্ট মানুষ। এখন দেখতে হবে, আমরা স্মার্ট মানুষের ধারণা কতোটা অর্জন করতে পেরেছি। স্মার্ট মানুষ নিঃসন্দেহে শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সচেতন, প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক।
লেখক : প্রাবন্ধিক।