নগরীতে শ্রুতির বর্ণিল পিঠা উৎসব
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:২১:০৮ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : অগ্রহায়ণ মানেই কৃষকের গোলায় নতুন ধান। কৃষাণির ব্যস্ততা দিনভর। নতুন চালের পিঠার ঘ্রাণে আমোদিত চারদিক। গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ। গতকাল শুক্রবার সেই পিঠার সুঘ্রাণ ছিলো সুবিদবাজারস্থ ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে। প্রতিবারের মতো এবারো সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি সিলেট আয়োজন করেছিল দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ১৪২৯ বাংলা। এটি শ্রুতির একবিংশতম আয়োজন। দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথম অধিবেশন উদ্বোধন করেন বরেণ্য আবৃত্তি ও অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রুতি সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত। উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক হিমাদ্রী শেখর রায়, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্লু- বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হুসনে আরা। দ্বিতীয় পর্বে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ এস এম কাসেম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, ব্লু-বার্ড স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ব্রজেন কুমার দাশ। এবার শ্রুতি সম্মাননা প্রদান করা হয় বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী এবং বীরমুক্তিযোদ্ধো ডালিয়া আহমেদ কে।
তৃতীয় পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল। উদ্বোধনী পর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব মাসকুরে সাত্তার কল্লোল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম, রজত কান্তি গুপ্ত, শ্রুতি সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শীত এলেই দিগন্তজোড়া প্রকৃতি হলুদ-সবুজ রঙে ছেয়ে যায়। পাকা ধানের পাশাপাশি প্রকৃতিকে রাঙিয়ে দেয় গন্ধরাজ, মল্লিকাসহ নানা ফুল।
দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মু: মাসুদ রানা, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার গৌতম দেব। রাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান।
দিনব্যাপী আয়োজনে সমবেত পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে- ছন্দনৃত্যালয়, গীতবিতান বাংলাদেশ, দ্বৈতস্বর, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, সিলেট, পাঠশালা, আনন্দলোক, মুক্তাক্ষর, আর্তনাদ, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, সংগীত নিকেতন, সুরের ভূবন, নৃত্যাঞ্জলি, অন্বেষা শিল্পী গোষ্ঠী, নৃত্যশৈলী, রাধারমণ স্মৃতি তর্পণ, প্রমা দেবী ও তার দল, ভাবুক, ললিত মঞ্জরি, নৃত্যরথ প্রমুখ।
দিনব্যাপী পিঠা প্রতিযোগিতায় প্রায় অর্ধ শতাধিক স্টল অংশ নেয়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে গিয়েছিল পিঠা উৎসবের আয়োজনে। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পিঠা উৎসব শেষ হয়।