ছাতকে জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য নিধনের হিড়িক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:২৭:৪৩ অপরাহ্ন
ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : ছাতকে জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য নিধনের হিড়িক পড়েছে। জলাশয়ের পাড়ে ডিজেল চালিত পাম্প বসিয়ে জলাশয় শুকিয়ে এ মৎস্য নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে ইজারা গ্রহীতারা। এতে করে দিনে-দিনে মিঠা পানির সু-স্বাদু দেশি মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে। সরকারিভাবে ইজারা দেয়া জলমহালসহ স্থানীয় ছোট-বড় খাল-বিলও রক্ষা পাচ্ছে না শুকিয়ে মাছ ধরার হাত থেকে। উপজেলার সর্বত্র বাধাহীনভাবে এসব কার্যক্রম চলছে। জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরায় একদিকে যেমন মাছের বংশ ধ্বংস হচ্ছে অপরদিকে হাওরের কৃষিজমি পড়ছে হুমকির মুখে। পানি সেচের অভাবে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি কর্তৃক হাওয়া-উরা-জিয়া জলমহাল শুকিয়ে মাছ আহরণের প্রস্তুতি বন্ধ ও এলাকার কৃষিজমি রক্ষায় ১৬ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছেন জাহিদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র দবির মিয়া।
অভিযোগে বলা হয়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ইজারা গ্রহীতারা হাওয়া-উরা-জিয়া জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য নিধনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যেই ইঞ্জিন চালিত মেশিন জলমহালের পাড়ে স্থাপন করেছেন। অন্যান্য বছর বোরো চাষের পর মাছ আহরণ করা হতো। কিন্তু এ বছর বোরো ধান রোপণের আগেই জলমহালটি শুকিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে জলাশয় সংলগ্ন ও এর আশপাশের প্রায় ৫শ একর বোরো জমি পড়েছে হুমকির মুখে। এ ছাড়া জলমহালের সাথে পার্শ্ববর্তী লিজ বহির্ভূত অপর একটি জলমহাল জবরদখল করে অবৈধভাবে ভোগ করে যাচ্ছে লিজ গ্রহীতার লোকজন। মাছের বংশ ও কৃষিজমি রক্ষায় জলমহাল শুকিয়ে মাছ আহরণ বন্ধ করতে প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরের জামান চৌধুরী জানান, সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে ইতোমধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।