আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে সেমিনার
দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে ——-মো. মাহমুদুর রহমান
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ৯:২১:১৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর জরিপ ও পরিদর্শন) মো. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পদ্মা সেতু ছাড়াও রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ কাস্টমস আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নগরীর শাহজালাল উপশহরের একটি অভিজাত হোটেলে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এই সেমিনারের আয়োজন করেন।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেটের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন ও অন্তরা দাশের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সেক্টর সদর দপ্তর সিলেটের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জিএইচএম সেলিম হাসান, বিজিবিএম, পিএসসি, জি+, সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি মাওলানা খায়রুল হোসেন ও সিলেট উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের অতিরিক্ত কমিশনার রাশেদুল আলম। অংশীদারদের পক্ষ থেকে কাস্টমস ক্লিয়ারিং এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আবুল কালাম বক্তব্য দেন।
সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের যুগ্ম-কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম। পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মনজুরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কাস্টমস রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করছে। কেবল চোরাচালানই নয় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীব ও বৈচিত্র্যে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা, বাণিজ্য সহজীকরণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানী উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দেশীয় অবস্থান সুসংহতকরণ ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, কাস্টমস ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির সফল প্রয়োগ, আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা, উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োগ এবং আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অংশীজনের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ায় বৈশ্বিক করোনার প্রভাবকে মোকাবেলা করে শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনে কাস্টমস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাস্টমস তথা রাজস্ব বিভাগ তার সামগ্রিক প্রচেষ্টায় অর্থনীতির ক্ষতি পুষিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও বৃদ্ধি এবং টিকে থাকার লড়াইয়ের মাধ্যমে টেকসই সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
মূল প্রবন্ধ বলা হয়, বিশ্ব বাণিজ্যের উন্নয়ন সহজীকরণ, সরলীকরণ, উদারীকরণ এবং কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ২০০৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। ১৯৫৩ সালের ২৬ জানুয়ারি ১৭টি দেশ নিয়ে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসসে ওয়াল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৪টি দেশে একযোগে এই দিবসটি পালন করা হয়। এরপর থেকেই বাংলাদেশও সংস্থাটির সদস্য হিসেবে দিবসটি পালন করছে।
সেমিনারে জানানো হয়, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও দেশে কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। ওই সময়ে ‘ফ্রন্টলাইনার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কাস্টমসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।