জন্মনিবন্ধনে ভোগান্তি প্রসঙ্গ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:৪৬:৪১ অপরাহ্ন
রেজাউল করিম
দেশের সব বয়সি নাগরিকের জন্য জন্মনিবন্ধন প্রযোজ্য। জন্মসনদ হচ্ছে একজন মানুষের জন্ম, বয়স, পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ। রাষ্ট্রস্বীকৃত নাগরিকের মর্যাদা ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। ২০০৪ সালে জন্মনিবন্ধন আইন করা হয়, কার্যকর হয় ২০০৬ সালে। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন ২০০৪ (২০০৪ সালের ২৯ নং আইন)-এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা ও স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্মসনদ প্রদান করা হয়।
সর্বশেষ নীতিমালা অনুসারে ৪৫ দিনের ভেতরে শিশুর নতুন জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে কোনো ফি জমা দিতে হবে না। ৪৫ দিনের পর থেকে শিশুর ৫ বছর বয়স পর্যন্ত জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে ২৫ টাকা ফি এবং ৫ বছর পর জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে আবেদনকারীকে প্রতিটি জন্মনিবন্ধনের জন্য ৫০ টাকা প্রদান করতে হবে। এ টাকা স্থানীয় সরকার বিভাগ অথবা নিবন্ধকের কার্যালয় গ্রহণ করবে। অথচ সরকারি ফি কত, তা জানেন না অধিকাংশ গ্রাহক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে ইচ্ছামতো ফি। সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ-মাসের পর মাস ঘুরতে হয় জন্মনিবন্ধন সনদ তুলতে অথবা সংশোধন করতে।
শিশুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পাসপোর্ট ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, সরকারি-বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি, গ্যাস-পানি-টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগপ্রাপ্তি, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি, ঠিকাদারি লাইসেন্সপ্রাপ্তি, বাড়ির নকশা অনুমোদনপ্রাপ্তি, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্সপ্রাপ্তি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তিসহ নানা কাজে জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজন পড়ে। এসবের মধ্যে কিছু কাজ জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে করা যায়। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতেই জন্মনিবন্ধন সনদের প্রয়োজন পড়ে। সেই গুরুত্বপূর্ণ জন্মনিবন্ধন তৈরি, সংশোধন, ইংরেজিকরণে সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জন্মনিবন্ধন তৈরি বা সংশোধনের কাজে অতিরিক্ত ফি আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর নাগরিকদের কাছ থেকে অহরহ এমন ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বস্তুত এটি সারা দেশেরই চিত্র।
জন্মসনদ নিয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিশুদের। স্কুলে ভর্তির সময় শিশুর বয়স প্রমাণের জন্য জন্মসনদ চাওয়া হয়। সময়মতো জন্মনিবন্ধন পেতে দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে অভিভাবকদের। শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদ তুলতে গিয়ে দেখা যায় তাতে বাবা-মায়ের নাম ভুল রয়েছে। বাবার নামে হয়তো মোহাম্মদ আছে, কিন্তু শিশুর জন্মনিবন্ধনে মোহাম্মদ নেই। মায়ের নামে আক্তার থাকলেও শিশুর জন্মনিবন্ধনে মায়ের নামের ঘরে বেগম লিপিবদ্ধ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পিতামাতার জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে নামের মিল নেই জাতীয় পরিচয়পত্রের। এক্ষেত্রে শিশুর জন্মনিবন্ধন করতে প্রথম ধাপে সংশোধন করতে হয় পিতামাতার নাম। ভোগান্তিটা এখান থেকেই শুরু হয়। অন্যদিকে শিশুর পিতা প্রবাসে থাকায় পাসপোর্টের নামের সঙ্গে অনেকের মিলছে না জন্মনিবন্ধনের নাম। এতে অভিভাবকদের আরেক ধাপ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দেশে ফিরে নতুন করে পাসপোর্ট করাতে গেলে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে ত্রিমুখী ভুল থাকায় ভোগান্তি আরও বাড়ছে।
বর্তমানে বিভিন্ন স্কুলে চলছে ভর্তি। নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে থাকতে হচ্ছে ইংরেজি ভার্সনে শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন। অথচ অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর জন্মনিবন্ধন অনলাইনে ইংরেজি ভার্সন করা নেই। এদিকে সদ্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী শেষ করা ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে জন্মনিবন্ধনের ইংরেজি ভার্সনের প্রয়োজন হওয়ায় অধিকাংশ মাধ্যমিক-নিুমাধ্যমিক বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রেই জন্মনিবন্ধনের ইংরেজি ভার্সন নিচ্ছে। ইংরেজি ভার্সনে জন্মনিবন্ধন সনদ তুলতে দেরি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছে না নতুন শ্রেণিতে। শুধু জন্মনিবন্ধনের ইংরেজি ভার্সন সংগ্রহ করতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থী নতুন বছরের পাঠ্যবই এখনো হাতে পায়নি। এতে বিশেষ করে ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। জন্মনিবন্ধনের ইংরেজি ভার্সন তৈরি করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফর্ম পূরণ করার পর সেই আবেদন উপজেলা বা জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দিয়ে অনুমোদন করাতে হয়। কোথাও কোথাও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদন হলেও কোথাও আবার উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সামনে সশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আবেদন অনুমোদন করাতে হচ্ছে। উপজেলা থেকে অনুমোদিত আবেদন নিয়ে পুনরায় আবেদনকারীকে আসতে হয় নিজস্ব ইউনিয়ন পরিষদে। ভুক্তভোগীদের দাবি, ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্র থেকেই এসব সেবার ব্যবস্থা করা হোক।
জন্মনিবন্ধনের প্রথম ধাপে তথ্য সংগ্রহ করা হয় স্বল্প প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে। ফলে প্রথম পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের সময় সার্টিফিকেট বা অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে মিল না রেখেই এনালগ বইয়ে তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। ভোগান্তিটা তখন থেকেই শুরু। এরপর ২০১০ সালে এনালগ তথ্য বই থেকে অনলাইন সার্ভারে জন্মনিবন্ধন তথ্য স্থানান্তর করা হয়। তখন এ ভুল তথ্যগুলোই ডিজিটাল ভুলে রূপান্তরিত হয়। এরপর অনলাইনে সংশোধন করতে শুরু হয় নাগরিকদের চরম ভোগান্তি। জনবল কম থাকায় কোথাও কোথাও একযোগে অনলাইনে তথ্য স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি। ফলে নাগরিকের অনলাইন সনদ পেতে দ্বিতীয় দফায় তথ্য দিতে হচ্ছে। ২০১০ সালের পর যে সার্ভারে কাজ করা হতো, সম্প্রতি তা পালটানো হয়েছে। নতুন এ সার্ভারেও আগের সার্ভারের সব তথ্য স্থানান্তর হয়নি বলে জানা গেছে। এতে জনভোগান্তি আরও বেড়েছে।
জন্মনিবন্ধন করার ৯০ দিনের মধ্যে সংশোধন করতে হলে তা নিবন্ধকের কার্যালয় থেকেই সম্ভব। এরপর উপজেলা বা জেলা প্রশাসনে গিয়ে করতে হয়। সংশোধনীর জন্য নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে আবেদন উপজেলা বা জেলা প্রশাসনে পাঠানো হয়। সেখান থেকে অনুমোদন দেওয়া হলে নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে তা সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু আবেদন দিনের পর দিন সংশোধনের জন্য পড়ে থাকে। তখন দ্রুত পাওয়ার জন্য মানুষ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে ভিড় জমায়।
জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সরকার আরও একটি নিয়ম যুক্ত করেছে। যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারির পর, তাদের সনদ পেতে হলে মা-বাবার জন্মসনদসহ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে জন্মসনদ কেন প্রয়োজন এ প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। যদিও সম্প্রতি তা কিছুটা শিথিলযোগ্য করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১১ সাল থেকে যে সার্ভারে কাজ চলছিল, সেখানকার সব তথ্য বর্তমান সার্ভারে স্থানান্তর করে নিলে নতুন করে কাউকে জন্মনিবন্ধন করতে হতো না। কেউ হয়তো পুরোনো জন্মনিবন্ধনের নম্বর দিয়ে পাসপোর্ট করেছে বা ভিসার জন্য ব্যবহার করেছে; এখন তাদের ১৭ ডিজিট নেই। নতুন করে করলে সেই নম্বর পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বর্তমান সার্ভারের সক্ষমতার চেয়ে ব্যবহারকারী বেশি। এতে প্রায়ই ডাউন হয়ে যাচ্ছে সার্ভার। নিবন্ধন ফর্ম ও সংশোধনীর ফর্মটাই অনেকে বুঝছে না। সংশোধনের ক্ষেত্রে জন্মতারিখ পরিবর্তনের ফি ৫০ টাকা, বয়স সংশোধন ১০০ টাকা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছামতো।
বিবিএসের তথ্যমতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৭ কোটি। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ৬ মার্চ পর্যন্ত দেশে জন্মনিবন্ধনের সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৫ লাখের বেশি। এছাড়া ৬ মার্চ পর্যন্ত সংশোধনের আবেদন জমা ছিল প্রায় ২২ লাখ। বিবিএসের পরিসংখ্যানের চেয়ে জন্মনিবন্ধন বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে জানা যায়, স্কুল পরিবর্তন বা পছন্দের স্কুলে ভর্তির জন্য অনেক অভিভাবক একাধিক জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছেন। আগের সার্ভারে একাধিক জন্মনিবন্ধন কেউ করলে তা ধরা যেত না। তবে এখন ধরা যায়।
এদিকে জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে আসা অধিকাংশ নাগরিকের অভিযোগ, প্রায়ই সার্ভার ডাউন থাকে। সার্ভার ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, অতিরিক্ত ফি আদায় করতে ইন্টারনেটের গতি কম, সার্ভার ডাউন প্রভৃতি অজুহাত দেখিয়ে সেবাপ্রার্থীদের দিনের পর দিন ঘোরানো হচ্ছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, কোনো কোনো কেন্দ্রে অসাধু কর্মকর্তাদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিলেই জন্মসনদ পাওয়া যায় দ্রুত। এ অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে চাই আইনের কঠোর প্রয়োগ।
যেখানে জন্মসনদ প্রয়োজন তাৎক্ষণিকভাবে, সেখানে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সনদ পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকের অভিযোগ, মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে সনদ পেতে। বস্তুত এ সনদ পেতে বা সংশোধনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষকেই। শিশুদের ক্ষেত্রে ভোগান্তি আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে হয়রানি তো আছেই। অনেক ইউনিয়নে প্রায়ই তথ্য সেবাকেন্দ্র থেকে নোটিশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সার্ভার আপডেট করার জন্য সমস্যা হচ্ছে, এ কারণে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ। অনেকে বলছে, সার্ভার ডাউনের জন্য জন্মসনদ দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে মৃত্যুসনদ পেতেও গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ। অথচ অর্থগ্রহণের নেই কোনো রসিদ। সরকারি নির্ধারিত ফি নেওয়ার পরও কোথাও কোথাও বাড়তি সার্ভিস চার্জের নোটিশ টাঙানো হয়।
ডিজিটাল সেবার উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের ভোগান্তি কমানো; কিন্তু সেই ডিজিটাল সেবায় জন্মনিবন্ধনে ক্রমেই ভোগান্তি বেড়েই চলছে। গ্রাহক থেকে কর্মকর্তা-সবাই এ নিয়ে বিরক্ত। তবুও মিলছে না সমাধান। ইউনিয়ন কিংবা পৌরসভা সবখানে একই চিত্র। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিড়ম্বনা বাড়ানো হলেও নেই কোনো জবাবদিহিতা। ভোগান্তির সমাধান নিয়েও কারও সদিচ্ছা নেই। সমস্যাই এখন নিয়মে পরিণত হচ্ছে। অধিকাংশ নাগরিকের ধারণা, জন্মনিবন্ধন মানেই ঘুরতে হবে, বিড়ম্বনা পোহাতে হবে। তবে এ বিড়ম্বনার শেষ কোথায়, সেটাও অজানা। গত অক্টোবরে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন দিবস পালন উপলক্ষ্যে ক্ষোভও প্রকাশ করেন ঢাকার দুই মেয়র। তাদের বক্তব্যেও উঠে আসে-দিনের বেলা জন্মনিবন্ধনের সার্ভার ডাউন থাকে, কখনো বন্ধও থাকে। ওই সময় লোকজন নিবন্ধন করতে পারেন না। আবার রাতে সার্ভার ঠিক থাকে। রাতে গ্রাহক উপস্থিত থাকার কথা নয়।
প্রশ্ন হলো, জন্মনিবন্ধনের মতো ডিজিটাল সেবার একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এত অবহেলা কেন? এর সমাধানে জোরালো পদক্ষেপ নেই কেন? এ ভোগান্তির শেষই বা কোথায়?
লেখক : প্রাবন্ধিক।