দিরাইয়ে আ’লীগের সমাবেশ ঘিরে দু’গ্রুপে উত্তেজনা ॥ পুলিশ মোতায়েন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৩৩:৩০ অপরাহ্ন
দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা : দশমবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আজ শনিবার দিরাই থানা পয়েন্টে সমাবেশের ডাক দিয়েছে দিরাই উপজেলা যুবলীগ। এ সমাবেশে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটসহ সিনিয়র নেতাদের উপস্থিত হওয়ার কথা জানিয়ে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। সমাবেশ সফল করতে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় আয়োজকদের (মোশাররফ গ্রুপ) একটি প্রচার মিছিল করতে দেখা যায়। অপরদিকে সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্ত অনুসারীরা (প্রদীপ গ্রুপ) দলীয় কার্যালয়ে এক কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে।
এ নিয়ে শনিবারের সমাবেশকে ঘিরে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’পক্ষের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সমাবেশস্থলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম/অপারেশন) রিপন কুমার মোদক এর নেতৃত্বে দুই প্লাটুন পুলিশসহ সাদা পোশাকের বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন মোতায়েন থাকবে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দুই প্রিয়ভাজন প্রদীপ রায় ও মোশাররফ মিয়ার মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিয়ার এই দলীয় দ্বন্দ্বের প্রভাবে অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন। বিগত উপজেলা নির্বাচন ও পৌরসভার নির্বাচনে প্রকাশ্য বিরোধিতায় নামে দু’গ্রুপ। এরপর থেকেই দিরাই-শাল্লা আসনের সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তাকে অবজ্ঞা করে বারবার দলীয় সভা সমাবেশ হচ্ছে তার নির্বাচনী এলাকায়। সভা সমাবেশগুলোতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হতে দেখা যায় সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট প্রমুখ। প্রতিবারই এসব সভা সমাবেশ ঘিরে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজমান থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাড়তি সতর্ক অবস্থান নিতেও দেখা যায়। এরপরও গত বছরের ১৪ নভেম্বর দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তিন প্লাটুন পুলিশের সতর্ক অবস্থান থাকা সত্ত্বেও এই সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কাজি মোক্তাদির হোসেন বলেন, সমাবেশের দিন সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশ নজরদারি করবে।