শান্তিগঞ্জের গুইরাখাল শুকিয়ে মৎস্য নিধন
হুমকির মুখে নব নির্মিত গুইরাখাল ব্রীজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৩৪:১০ অপরাহ্ন
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : শান্তিগঞ্জের পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বাবনগাঁও গ্রাম সংলগ্ন গুইরাখাল ব্রীজের নিচের গুইরাখাল শুকিয়ে মৎস্য নিধন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ব্রীজটি। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত গুইরাখাল ব্রীজ ও ব্রীজের এপ্রোচ হুমকির মুখে পড়েছে।
জানা যায়, ভাসান পানিতে মৎস্য আহরনের শর্তে ১৪২৮ বাংলা থেকে ১৪৩০ বাংলা সনের জন্য ইজারা নেয় বাবনগাঁও সোনালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। কিন্তু, ইজারাদাররা ভাসান পানিতে মৎস্য আহরনের শর্ত ভঙ্গ করে পানির পাম্প লাগিয়ে খাল শুকিয়ে মৎস্য নিধন করছে । এতে পূর্ব বীরগাঁও ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের উমেদনগর,সলফ,বীরগাঁও,বাবনগাঁও,হাঁসকুড়ি,ধলমৈশা,উপ্তিরপাড়,কাউয়াজুরী ও দিরাই থানার নগদীপুর,দৌলতপুর,কামরিবীজ,জগদল সহ দক্ষিণ এলাকার একমাত্র চলাচলের রাস্তার মাঝখানে বাবনগাঁও সংলগ্ন নব নির্মিত গুইরাখাল ব্রীজের এপ্রোচ হুমকিতে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় ব্রীজটি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বীরগাঁও এলাকার অনেকেই বলেন, কিছু প্রভাবশালী লোক প্রতি বছর এই ব্রীজের নিচ এলাকা লিজ এনে ভাসা পানিতে মৎস্য আহরণ না করে শুকিয়ে মৎস্য নিধন করে।
এ ব্যাপারে গুইরাখালের ইজারাদার বাবনগাঁও সোনালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি লিকুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার জানান, খবর পেয়ে তহসিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত মোতাবেক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।