কিডনি বিষয়ে সচেতনতা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মার্চ ২০২৩, ৭:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন

বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়েছে হচ্ছে আজ। কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এই দিবসটি পালিত হয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও। আন্তর্জাতিক কিডনি ফাউণ্ডেশন এবং আন্তর্জাতিক নেফরোলজি সোসাইটির উদ্যোগে ২০০৬ সাল থেকে পালিত হচ্ছে দিবসটি। মানবদেহের অসংক্রামক রোগগুলোর অন্যতম হচ্ছে কিডনি রোগ। অনেক ক্ষেত্রেই কিডনি রোগের কোন পূর্বলক্ষণ থাকে না। অর্থাৎ এই রোগ কখনও আগাম জানান দিয়ে আক্রমণ করে না। তাই কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে জানা এবং এ জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি। তবে কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হলে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি বিকল হওয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মানুষের শরীরের অতি অপরিহার্য্য অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। এই কিডনি সচল থাকলে, সচল থাকে মানুষের প্রাণশক্তি। নানা কারণে এই কিডনি বিকল হতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে উদ্বেগজনক খবর হচ্ছে, একজন কিডনি রোগী তার শরীরের দু’টি কিডনিই যখন ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বিকল হয়ে পড়ে, তখনই তিনি এই রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন। অথচ এই অবস্থায় রোগীর চিকিৎসার সুযোগ থাকে খুব কমই। তাছাড়া, কিডনি রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। অনেকের পক্ষেই ব্যয়ভার বহন করা মুশকিল হয়ে পড়ে। যে কারণে তাদেরকে বলা যায় বিনে চিকিৎসায়ই মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। বাংলাদেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দুই কোটির বেশি লোক কোন না কোন কিডনি রোগে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও কয়েকটি রোগের সঙ্গে রয়েছে কিডনি রোগের সম্পর্ক। যেমন স্থূলতা হচ্ছে কিডনি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তাছাড়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস রোগের জন্যও কিডনি রোগ হতে পারে।
কিডনি রোগের মতো একটি অসংক্রামক রোগের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক কিডনি দিবস। সংক্রামক অসংক্রমাক সব ধরণের রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। যাদের ডায়াবেটিস আছে কিংবা যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আছে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে বা পরিবারের কারও কিডনি সমস্যা আছে, তাদের বছরে অন্তত একবার কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে উল্লিখিত রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সর্বোপরি, কিডনি রোগের চিকিৎসা যাতে সহজলভ্য হয়, সেই উদ্যোগ নিতে হবে।