মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব এর জীবন বৃত্তান্ত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মার্চ ২০২৩, ৬:৫১:২৪ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলাধীন জুড়াম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতার নাম মরহুম হাফিজ উদ্দিন এবং মাতা মরহুমা জিন্নাতের নেছা। আট ভাইবোনের মধ্যে তিনি অষ্টম।
মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব দত্তকুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। তাঁর বাড়ি থেকে ৬ কি.মি. দূরে পূর্বধলা সদর। তিনি এই ৬ কি.মি. রাস্তা পায়ে হেঁটে আসা-যাওয়া করে পূর্বধলা জগৎমণি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মানবিক শাখায় ২য় বিভাগে এসএসসি পাশ করেন। পরে পূর্বধলা ডিগ্রি কলেজ হতে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে মানবিক শাখায় ২য় বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন।তিনি ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ মহাবিদ্যালয় হতে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে মানবিক শাখায় ২য় বিভাগে বিএ পাশ করেন। ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ফেনী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ হতে ২য় বিভাগে বিএড পাশ করেন।
২০০০ খ্রিষ্টাব্দে এ দেশের দেশবরেণ্য শিল্পপতি, সমাজসেবক, দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী সাহেবের একান্ত প্রচেষ্টায় গড়া ‘রাগীব-মজিব উচ্চবিদ্যালয়’-এ শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে জাহানারা পারভিন শিল্পির সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর স্ত্রী ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্বধলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় হতে মানবিক শাখায় প্রথম বিভাগে এসএসসি উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে পূর্বধলা ডিগ্রি কলেজ হতে মানবিক শাখায় প্রথম বিভাগে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে পূর্বধলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ হতে বিএসএস ৪.৮০ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে এই দম্পতি এক ছেলে সন্তানের জনক হন। এক সন্তান নিয়েই তাঁরা সুখে আছেন।
তাঁর ছেলের নাম জামিরুল রেজা ফাহিম। সে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞান শাখায় এসএসসি ও ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসিউত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে সে ঢাকায় ইটঋঞ-তে অধ্যয়ণরত।
উল্লেখ্য যে, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী মহোদয়ের গুলশানের বাসায় তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাঁর আদ্যপ্রান্ত জানতে পারেন। লেখালেখিতে তাঁর অভ্যাস রয়েছে। যখন তাঁর সার্বিক সহযোগিতা পেলেন, তখন তাঁর কর্মের ওপর ভিত্তি করে কিছু গীতিকবিতা রচনা করেন। পরবর্তীতে গানগুলো স্বকণ্ঠে পরিবেশন করে সিডি আকারে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী মহোদয়কে উপহার হিসেবে প্রদান করেন। গানগুলো শুনে তিনি মুগ্ধ হন।
তাঁর স্ত্রী জাহানারা ওয়াহাবও দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী মহোদয়ের জীবন ও কর্মের ওপর অনেক কবিতা রচনা করেছেন। “সুরমা পারের ছেলে” নামক তাঁর প্রকাশিত একটি কাব্যগ্রন্থও রয়েছে।