রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদান ঘিরে গুণীজনের মিলনমেলা
দানবীর ড. রাগীব আলী জীবন্ত কিংবদন্তি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০২৩, ৬:৪৯:১৬ অপরাহ্ন
শ্রম, মেধা ও মননের সমন্বয়ে তাঁরা সমাজকে আলোকিত করেন: দানবীর ড. রাগীব আলী
স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা ও রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার অনুষ্ঠান ঘিরে গতকাল শনিবার দক্ষিণ সুরমার কামালবাজারস্থ রাগীবনগর লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে গুণীজনের মিলনমেলা। করোনা মহামারির কারণে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা ও রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার প্রদান বন্ধ থাকার পর গতকাল পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, অভিনেতা, সাংবাদিক, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুণীজনের সমাবেশ ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বেই গুণীজন-অতিথিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে লিডিং ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস। লিডিং ইউনিভার্সিটির শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭-২০২২ এবং রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা ও সাহিত্য পুরস্কারের প্রবর্তক, শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক, মানবতার কল্যাণে নিবেদিত রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, দেশবরেণ্য শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, গুণীজনকে সম্মান জানালে সমাজে গুণীজনের জন্ম হয়। তাঁরা তাদের সুকীর্তির মাধ্যমে সমাজকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তুলেন। শ্রম, মেধা ও মননের সমন্বয়ে তাঁরা সমাজকে আলোকিত করেন। সিলেট অঞ্চলের জ্ঞানী-গুণীজনকে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন ‘সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে সম্মাননা’ প্রদান করছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দানবীর ড. রাগীব আলী একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। সাহিত্য-সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, মানবকল্যাণসহ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি অবদান রেখেছেন। সাহিত্য সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা দানবীর ড. রাগীব আলী ছাড়া এমন একটাও উদাহরণ পাওয়া যাবে না।’
অনুষ্ঠানে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা-২০২২ প্রাপ্ত গুণীজনের মধ্যে রয়েছেন-ইসলামি চিন্তাবিদ হিসেবে মাওলানা মুফতি মো. মহিব্বুল হক গাছবাড়ি এবং হাফিজ মাওলানা মোহাম্মদ মুফতি আবুল হোসেন, শিক্ষাক্ষেত্রে স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ, ক্রীড়াক্ষেত্রে মো. নাসির আহমেদ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালিক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল হক, হিন্দু ধর্মীয় পুরোহিতে শ্রীযুক্ত কপিল দেব উপাধ্যায়, সংগীতে জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, চলচ্চিত্র অভিনয়ে চিত্রনায়ক হেলাল খান, সাংবাদিকতায় নজরুল ইসলাম বাসন, কবিতায় এখলাসুর রহমান, প্রবন্ধে রওশন আরা চৌধুরী, গীতি কবিতায় মো. আব্দুল ওহাব।
অপরদিকে, রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭-২০২২ প্রাপ্ত গুণীজনরা হলেন-ফোরকান আহমদ (গবেষণা-২০১৭), মোহন রায়হান (কবিতা-২০১৭), প্রফেসর ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য (গবেষণা-২০১৮), ফকির ইলিয়াস (কবিতা-২০১৮), ড. সৈয়দ শাহ এমরান (গবেষণা-২০১৮), ডা. বিনেন্দু ভৌমিক (কবিতা-২০১৯), প্রফেসর ড. নিলুফা আক্তার (কথাসাহিত্য-২০২০), আব্দুর রহমান (সংগীত-২০২০), সামারিন দেওয়ান (গবেষণা-২০২১), পুলক কান্তি ধর (কবিতা-২০২১), মোস্তফা সেলিম (গবেষণা-২০২২) এবং মোস্তাফিজুর রহমান (কবিতা-২০২২)।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার বনমালী ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ ও লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের নেতৃ স্থানীয় সদস্য আব্দুল হাই, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবেদ হোসেন, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম দাউদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, লিডিং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. জাহিদ হাসান ও আইন বিভাগের প্রভাষক রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর, অসংখ্য স্কুল, কলেজ মসজিদ-মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বন্ধু, মহৎপ্রাণ সমাজসেবক দানবীর ড. রাগীব আলী দীর্ঘ সময় ধরে চলা অনুষ্ঠানমালায় উপস্থিত অতিথি, গুণীজন ও সুধীজনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন সবসময় গুণীদের সন্ধান করে। এবারও যাঁরা সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তারা এ অঞ্চলের কৃষ্টি-সভ্যতার লালন ও বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। পরবর্তীতে সুকুমারবৃত্তির চর্চায় তাদের কর্মকান্ড আরো বিস্তৃত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সিলেট জ্ঞান-গরিমায় আদিকাল থেকেই সুপ্রসিদ্ধ। এখানকার লেখক কবি-শিল্পীরা বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তারা সভ্যতার বিকাশে নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে অবদান রেখেছেন। আলোকিত ও উদার সমাজ বিনির্মাণে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং সম্মাননা ও পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের উত্তরীয় পরিয়ে ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। দানবীর ড. রাগীব আলীর শিক্ষায় অবদানের উপর গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন-লিডিং ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান এবং পবিত্র গীতা পাঠ করেন পৃথ্বীশ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে সূচনা সংগীত পরিবেশন করেন নেত্রকোনার রাগীব-মজিব উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার।
তিনি একজন দূরদর্শী মানুষ : অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ ও লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের নেতৃস্থানীয় সদস্য আব্দুল হাই বলেন, তাঁর পিতা দানবীর ড. রাগীব আলী একজন দূরদর্শী মানুষ। মানবকল্যাণ, সমাজসেবা, শিল্প-বাণিজ্যে তাঁর অসামান্য অবদানের কারণে মানুষ তাকে আজীবন মনে রাখবে। তাঁর মাতা মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তিনি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। সবার সঙ্গে তিনি সহজ-স্বাভাবিক আচরণ করতেন। সেজন্য সকলের নিকট তিনি সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন।
গুণীজনদের সম্মানিত করা অনন্য কাজ : জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবেদ হোসেন বলেন, আমরা যদি গুণীজনদের মূল্যায়ন না করি; তবে সমাজে গুণীজন থাকবেন না। ফাউন্ডেশন গুণীজনদের সম্মানিত করে অনন্য কাজ করেছে।
দানবীর ড. রাগীব আলীর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, দানবীর ড. রাগীব আলী শতাধিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিয়েছেন এবং পরিচালনা করছেন। সাহিত্য-সংস্কৃতি, চিকিৎসা, ক্রীড়া, শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সরকারের পাশাপাশি মানবতার কল্যাণে কাজ করছেন তিনি। যা সিলেট তথা বাংলাদেশের জন্য ব্যতিক্রম। তিনি সবসময় মানুষের সেবা করার কথা ভাবেন। অনেক বয়স হলেও তিনি যুবকদের ন্যায় কাজ করছেন।
সম্মাননা ও পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে বাংলাদেশের ইতিহাসে মানুষের কল্যাণে এভাবে কেউ কাজ করেননি। তিনি বাঙালি জাতির গর্বিত সন্তান। তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এমন অনুষ্ঠান বিরল দৃষ্টান্ত : সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ বলেন, গুণীজনদের সম্মানিত করলে আমরা সম্মানিত হই। কবি-সাহিত্যিকদের জন্য এমন অনুষ্ঠান একটি বিরল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের কোথাও এমনটা দেখিনি।
দানবীর রাগীব আলীর কর্মময় জীবন নিয়ে গবেষণা করা উচিত : অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান দানবীর ড. রাগীব আলীর কর্মময় জীবন নিয়ে গবেষণা করা উচিত উল্লেখ করে বলেন, দানবীর ড. রাগীব আলীর চরিত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তার সর্বব্যাপী বৈশিষ্ট্য। যেকোন পরিস্থিতিতে যেকোন মানুষ ও সমাজের সাথে তিনি কাজ করতে পারেন। আজকের দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠান চলতে থাকলেও তিনি স্বাভাবিকভাবে বসে আছেন।
দানবীর রাগীব আলীর অবদান বলে শেষ করা যাবে না : সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক বলেন, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, চিকিৎসা, মুক্তিযুদ্ধ, সমাজসেবাসহ এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে রাগীব আলীর অবদান নেই। তাঁর এই অবদান বলে শেষ করা যাবে না। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি, সাহিত্যিক, গবেষক এবং গুণীজনের হাতে সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র, পুরস্কারের চেক, ব্যাগ এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এ সময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেকের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করা হয়। পুরস্কার গ্রহণ শেষে গুণীজনেরা তাঁদের নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মদনমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রোটারিয়ান আতাউর রহমান পীর, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ, রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম, প্রক্টর রানা এম. লুৎফুর রহমান পীর, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ কবির আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।