ওসমানীনগরে স্কুলছাত্রী হত্যাকান্ড তিন দিনেও ক্লু উদঘাটন হয়নি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০২৩, ৬:৫৪:৪২ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর(সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ ওসমানীনগরে দিপা রানী সিংহ (১৪) নামের অষ্টম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী হত্যার ঘটনায় তিন দিনেও ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার দুই দিন পর গতকাল শনিবার নিহত দিপার পিতা পীযুষ চন্দ্র সিংহ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ওসমানীনগর থানায় হত্যা (মামলা নং-১১) দায়ের করেছেন। এদিকে, কে বা কারা কি কারণে দিপাকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় সেই ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহতের প্রেমিক ও তার বন্ধু এবং নিহতের পরিবারের একাধিক সদস্যসহ অনেককেই থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেলেও ঘটনার কোনো রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
গত শুক্রবার রাতে ময়না তদন্ত শেষে নিহত দিপার লাশ তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা তলাগ্রামে দাহ করা হয়।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন স্কুলছাত্রী হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখন পর্যন্ত ঘটনার কোনো ক্লু উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। মামলা দায়েরের পর এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করাও হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার তাজপুর ইউপির স্কুল রোডে তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলকের নির্মাণাধীন একতলা ভবনের ছাদে দিপা রানী সিংহের রক্তাক্ত লাশটি পাওয়া যায়। নিহত দিপা কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার তলাগ্রামের পীযুষ চন্দ্র সিংহের মেয়ে ও তাজপুর মঙ্গল চন্ডি নিশিকান্ত সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। নিহত দিপা তার পরিবারের সাথে দীর্ঘ দুই বছর ধরে স্কুল রোডের দুলিয়ারবন্দ এলাকার চেয়ারম্যান ঝলকের মালিকানাধীন বহুতল ভবনের চারতলায় বসবাস করে আসছিল।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতের খাবার খেয়ে পিতা পীযুষ চন্দ্র সিংহের সাথে একই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে দিপা সিংহ। ভোর ৫টার দিকে পিতা পীযুষ সিংহ ঘুম থেকে জেগে দেখেন মেয়ে পাশে নেই। ঘরের সদর দরজা কলাবসেবল গেইট খোলা মা ও বড় ভাইয়ের মোবাইল এবং ঘরের চাবি নির্দিষ্টস্থানে নেই। কাপড় পরিবর্তন করে নতুন জামা কাপড় পরে দিপা কোথায় চলে গেছে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজির পর একই ভবনের পাশের একতলা নির্মাণাধীন একটি ভবনে দিপার রক্তাক্ত লাশ খুজে পান তার পরিবার। পরিবারের লোকজন দিপাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্যারাডাইস মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দিপাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওসমানীনগর থানা পুলিশ খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আর সুরতহাল শেষ করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিপার লাশ প্রেরণ করে পুলিশ।