রাগীব-রাবেয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার ভিত্তি স্থাপন
দানবীর ড. রাগীব আলী একজন আশিক মানুষ, তার মধ্যে নুর আছে, ঘ্রাণ আছে —–আল্লামা রশিদুর রহমান ফারুক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মার্চ ২০২৩, ৭:০২:০৮ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীর অদূরে স্যাটেলাইট সিটি খ্যাত রাগীব নগরে এবার রাগীব-রাবেয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। দেশের প্রখ্যাত আলেম, বরুনার পীর শায়খুল হাদীস আল্লামা রশিদুর রহমান ফারুক গতকাল সোমবার রাতে এই মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, মানুষের নেক আমল-বদ আমলের উপর ৪টি জিনিস সাক্ষী থাকে। এগুলো হচ্ছে-মাকান, মকিন, মামুলাত ও মালাইকা। দুনিয়া মুমিনের জন্য একটি কারাগার-পরীক্ষার হল। পরীক্ষা চলছে মুহূর্তে- মুহূর্তে, সেকেন্ডে সেকেন্ডে। পরীক্ষক স্বয়ং আল্লাহ। সাক্ষী হিসেবে ৪ টি জিনিসকে রেখেছেন। কেয়ামতের দিন নিজের আমল আল্লাহর কাছে সাক্ষী হিসেবে দন্ডায়মান হবে। শরীরের অঙ্গ -প্রত্যঙ্গ সাক্ষী হিসেবে থাকবে। খোদ আমলও কথা বলবে। দানবীর ড. রাগীব আলী একজন আশিক মানুষ। তার মধ্যে নুর আছে, ঘ্রাণ আছে। তিনি আল্লাহকে খুশি করতেই মাদরাসা স্থাপন করছেন।
দেশ-বিদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সমাজসেবক, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলীর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে দেশের বরেণ্য বুজুর্গ আল্লামা রশিদুর রহমান ফারুক আরও বলেন, ইসলাম শুধু বাঁচার নাম নয়, বাঁচানোর নামও। ইসলাম শুধু খাওয়ার নাম নয়, খাওয়ানোর নামও। ইসলাম শুধু নিজে ঘরে থাকার নাম নয়। মানুষের ঘর দেয়ার নামও। দানবীর ড. রাগীব আলীর মধ্যে আল্লাহ এসব গুণ দান করেছেন। টাকা পয়সা আল্লাহ অনেককে দেননা। দিলেও সেই নেয়ামত থেকে আমরা পেছনে থাকি। কিন্তু দানবীর ড. রাগীব আলীর মধ্যে আল্লাহ এই গুণ দিয়েছেন। যার বদৌলতে তার মাধ্যমে ৮৪ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাসিয়া নদীর ওপর রাগীব-রাবেয়া সেতুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যখন নদী পার হলাম সাইনবোর্ডে দেখলাম দানবীর ড. রাগীব আলী সেতু। এই সেতুতে উঠে, সেই সেতুর কথা মনে পড়ে গেছে। ভয়ানক সেই সেতু হবে- চুল থেকেও ছোটো, তলোয়ারের চেয়েও ধারালো, ৩০ হাজার মাইল লম্বা। নিচে থাকবে জাহান্নাম। দুনিয়ার সেতু পার হওয়ার সাথে সাথে সেই সেতুর কথাও মনে রাখতে হবে।
রাগীব-রাবেয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসা স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাদরাসা মসজিদ স্থাপনের চেয়ে আর ভালো কাজ কি হতে পারে। দানবীর ড. রাগীব আলী এই কাজটি করেছেন। এসব কাজে সবাই তাঁকে ভালোবাসবে। নিজের সন্তানদের এখানে পড়তে দিবে। সুসন্তানের মা-বাবা হওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। কেয়ামতের দিন সন্তান-সম্পদ কাজে আসবে না। নেক আমল ও ভালো কাজই সেদিন কাজে আসবে।
ছহিফাগঞ্জ এসডি মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রউফের পরিচালনায় এতে লিডিং ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সম্পাদক আব্দুল হাই, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সচিব ইঞ্জিনিয়ার লুৎফুর রহমানসহ বিশিষ্টজনেরা ও এলাকার বিপুল সংখ্যক মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন রাগীব-রাবেয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার মুহতামিম হাফিজ আব্দুল কাদির।
মাদরাসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের আগে আল্লামা রশিদুর রহমান ফারুক বিশেষ মোনাজাত করেন।
এর আগে দোয়া মাহফিলে নগরীর নাইওরপুল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নজমুদ্দিন কাসেমী, মালিনীছড়া চা বাগান মসজিদের ইমাম মাওলানা আমজাদ হোসেন কাসেমী আলোচনা পেশ করেন।