ফেঞ্চুগঞ্জে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসক
ইউপি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত হবার কারণ নেই
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মার্চ ২০২৩, ৭:০৬:১৯ অপরাহ্ন
ফলাফলের পর বিজয় মিছিল করা যাবে না ॥ পুলিশ সুপার
ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবুর রহমান বলেছেন, ফেঞ্চুগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন শেষে ফলাফল স্ব স্ব কেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে। কাজেই কোনরূপ শঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন শেষ পর্যায়ে এসে কোন ঘটনা বা কোন অভিযোগ নেই-এটাই প্রমাণ করে আমরা ভালো একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
তিনি গতকাল সোমবার ফেঞ্চুগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনি যদি সত্যিকারের জনসেবক হন; তাহলে আপনি নির্বাচিত হবেন। ইভিএমে আপনার ভোট আপনি দিতে পারবেন, অন্যের দেবার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর কোন বিজয় মিছিল হবে না। আইন অমান্য করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা কোন মারামারির দৃশ্য দেখতে চাই না মর্মে উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা নির্বাচন অফিসার শুকুর মাহমুদ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিত্রাণ তালুকদার, ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাফায়েত হোসেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার এহসানুল কবির ফেরদৌসের সঞ্চালনায় শুরুতে বক্তব্য রাখেন ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী তৈয়ফুর রহমান শাহীন, ইকবাল আহমদ, আক্তার আলী, মাইজগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী জুবেদ আহমদ চৌধুরী, মুহিত আহমদ শাহ, আহমেদ বেলায়েত, ঘিলাছড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর রহমান জুয়েল, বুরহান উদ্দীন সিন্ধু, উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নে হাজী লুদু মিয়া, ফজলুর রহমান, উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী জুনেদ আহমদ। সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদ প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-পারভেজ আহমেদ, আশিকুল হক, আব্দুল কাইয়ুম, রাসেল আহমেদ টিটু, হাজী আবু মিয়া, রাহেনা খাতুন, ফাতেহা বেগম, মারূফা ফয়সল, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ।
এবারের নির্বাচনে ৫টি ইউনিয়নে ২৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৮৬ হাজার ৭ শত ৮০ জন ভোটার আগামী ১৬ মার্চ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ৫ ইউনিয়নে ৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ৪৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৫০৬ জন পোলিং অফিসার, এবং ২৫৩ জন সহকারী পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সব কটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে।