রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে করা রিট খারিজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মার্চ ২০২৩, ৩:৪৯:২৫ অপরাহ্ন
![রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে করা রিট খারিজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে করা রিট খারিজ](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2021/01/sylheterdak-5-768x406.jpg)
ডাক ডেস্ক :
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া দুটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক রিট দায়ের করেন আইনজীবী এমএ আজিজ খান ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী।
গত ১২ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট দুটির শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রিট আবেদনটি দুটি নতুন বেঞ্চ নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।
গত ৭ মার্চ প্রথম রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না।
এরপর ১২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী একই বিষয়ে আরও একটি রিট দায়ের করেন।
তার আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী এম এ আজিজ খান। পরে নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি রিট দায়ের করেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।