গোয়াইনঘাটে তরমুজ চাষ করে সহস্রাধিক পরিবার স্বাবলম্বী ॥ ৮ কোটি টাকা আয়
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মার্চ ২০২৩, ৪:৪৪:১২ অপরাহ্ন
মনজুর আহমদ গোয়াইনঘাট থেকে : গোয়াইনঘাটে তরমুজ চাষ করে অর্ধ-সহ¯্রাধিক পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছেন। এতে প্রায় ৮কোটি টাকা আয় হয়েছে তরমুজ বিক্রি করে। উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের ১১ শত বিঘা জমিতে এবার তরমুজ চাষাবাদ করা হয়েছে। পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নেই শুধু ৫৬১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষাবাদ করা হয়েছে।
একাধিক হাওর, বিলের পার, নদীর তীর ও ধান ক্ষেতের মাঠে প্রচুর পরিমাণ তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। প্রতি বাগানে কৃষকরা ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন এবং প্রতিটি বাগান থেকে নিম্নে ২লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তারা। গোয়াইনঘাটে উৎপাদিত তরমুজ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয়েছে এবং আংশিক তরমুজ বিদেশেও রপ্তানি করা হয়েছে। প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে কৃষকরা তরমুজ চাষাবাদ শুরু করেন এবং জানুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে তরমুজ কাটা শুরু করেন এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত তরমুজ বেচাকেনা করেন।
বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করে থাকেন কৃষকরা। বিশেষ করে আনারকলি, ব্লাক জায়ান্ট, সাগর, আবে ড্রাগন, সীমান্ত, ব্লাক ব্রো, ব্লাক সাইন, বাংলালিংক, গ্লুরি, জাম্বু, পাকিজাসহ এই জাতের তরমুজ চাষাবাদ করা হয় গোয়াইনঘাট উপজেলায়।
প্রায় ২ যুগ ধরে এলাকায় তরমুজ চাষাবাদ হলেও গত ৪-৫ বছর থেকে উল্লেখযোগ্য জমিতে তরমুজ চাষাবাদ হচ্ছে। তবে এবছর সবচেয়ে বেশি তরমুজ চাষাবাদ করা হয়েছে। হুদপুর গ্রামের তরমুজ চাষী হাফিজ সুলাইমান জানান, তারা তিনজন যৌথভাবে ১০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এপর্যন্ত ৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন এবং আরও বিক্রি করবেন।
উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি জানান, উপজেলায় ১১ শত বিঘা জমিতে এবার তরমুজ চাষাবাদ করা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৭০হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন কৃষকেরা। তিনি আরও বলেন, চাষাবাদ থেকে বিক্রয় পর্যন্ত আমার অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। সার বীজ ও কীটনাশকসহ সব ধরনের পরামর্শ দিয়েছি বলেও জানান তিনি।