লিডিং ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন
বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিতে হবে ——দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মার্চ ২০২৩, ৫:১৩:৩৬ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার :
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে লিডিং ইউনিভার্সিটির বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আব্দুল হাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে ৪ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ‘সোনার বাংলা ‘ এবং ‘বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা’ বিষয়ে তিনটি বিভাগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, মানবকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ, দেশবরেণ্য সমাজসেবক দানবীর ড. রাগীব আলী। এসময় তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না।
গরীব-দুঃখী মানুষের বন্ধু, অসংখ্য স্কুল কলেজ, মসজিদ, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মানবকল্যাণে নিবেদিত রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক এবং ট্রাস্টি বোর্ড এর সদস্য আব্দুল হাই। পরে শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন দানবীর ড. রাগীব আলী।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ‘ক বিভাগে’ প্রথম হয়েছে বসন্ত মেমোরিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী অরিত্র পাল এবং দ্বিতীয় অদ্রিজা পাল। ‘খ বিভাগে’ প্রথম বসন্ত মেমোরিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী টমা কর্মকার এবং দ্বিতীয় ব্লুবার্ড স্কুল এন্ড কলেজের আরুশ ওয়াসি ইবনে আলম। ‘বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা বিষয়ে ‘গ বিভাগে’ প্রথম হয়েছে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী আহমত ইয়াসীন সানিয়াত এবং দ্বিতীয় সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সারওয়াত হাসান। এতে বিচারক হিসেবে ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের প্রভাষক শাহ মো. হাসিন সাদ এবং ফারহানা হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ, রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। ডেপুটি রেজিস্ট্রার কাওসার হাওলাদার এর পরিচালনায় এবং সার্বিক কোঅর্ডিনেশনে ছিলেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মিসেস শাম্মী আক্তার।