সিলেট মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে মেজর হাফিজ
আ’লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশ আজ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকারের কোন মাথাব্যথা নেই। তারা জানে জনগণের ভোটে কোনদিন ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই জনগণের উপর প্রতিশোধ নিতেই সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট মহানগর বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সিলেট মহানগর বিএনপি, ২৭টি ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও বিএনপি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের দলীয় নেতাকর্মী অংশ নেন।
বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, চাল-ডাল-তেল-কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমদ আরো বলেন, দেশ পরিচালনায় সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা ও দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তাই, আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যায় না। কারণ তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দিন দিন দেশের রিজার্ভ কমছে। সরকারের মন্ত্রী এমপিরা বিদেশে টাকার পাহাড় গড়ছে। ফলে দেশের অর্থনীতি দিন দিন খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দীপু সরকার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিন, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, সাধারণ সম্পাদক মির্জা স¤্রাট হোসেন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সদস্য সচিব আফছর খান, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জামান রুজী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক দিনার আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান ও মহানগর জাসাসের আহ্বায়ক তাজ উদ্দিন মাসুম প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, নজিবুর রহমান নজিব, সালেহ আহমদ খসরু, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আশিক উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মাহবুব কাদির শাহী, মুকুল আহমদ মুর্শেদ, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, শামীম মজুমদার, মতিউল বারী চৌধুরী খোর্শেদ, আমির হোসেন, নিহার রঞ্জন দে, মাহবুব চৌধুরী, মহানগর বিএনপির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ও মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জীবন, ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের মধ্যে থেকে মিজানুর রহমান মিঠু, লুৎফুর রহমান মোহন, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, রফিকুল ইসলাম রফিক ও নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।-বিজ্ঞপ্তি।