ওসমানী হাসপাতালে প্রথমবারের মতো ‘ল্যাপারোস্কপিক পাইলোপ্লাস্টি’ অপারেশন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মার্চ ২০২৩, ৩:৫৭:৩২ অপরাহ্ন

ডা: এস.এম. আসাদুজ্জামান জুয়েল: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো ‘ল্যাপারোস্কপিক পাইলোপ্লাস্টি’ (কর্তন না করে) অপারেশন হয়েছে। হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগে {কিডনী (বৃক্ষ) তন্ত্র অপারেশন বিভাগ} প্রথমবারের মতো সফল এ অপারেশন সম্পন্ন হয়। সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল সমূহের মধ্যে ওসমানীতেই প্রথম এ অপারেশন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা দাবি করেছেন। হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ডা: মো: আব্দুল আলীম এ অপারেশনে নেতৃত্ব দেন।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেটে বেসরকারি পর্যায়ে এ অপারেশন হলেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় তা কখনো হয়নি। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: মো: মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার প্রচেষ্টায় চার মাস আগে এই অপারেশনের জন্য ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়। যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পর ল্যাপারোস্কপিক অপারেশন হলেও রোববার প্রথমবারের মতো ল্যাপারোস্কপিক পাইলোপ্লাস্টি অপারেশন শুরু হয়।
অপারেশনে নেতৃত্বদানকারী ডা: এম এ আলীম জানান, তার জানামতে সরকারীভাবে বাংলাদেশের আর কোনো হাসপাতালে এই ব্যয় বহুল অপারেশন হয় না। সরকারিভাবে সিলেটেই প্রথম এ অপারেশন হলো। ‘হাইড্রোনেফ্রোসিস’ বা ‘কিড্নীতে’ পানি জমে ফুলে যাওয়া কিংবা ‘কিড্নীর’ বিভিন্ন কুটুরী বা সেগ্মেন্ট ফুলে গিয়ে কোষা নষ্ট হয়ে যাওয়া-রোগীদের ক্ষেত্রে এ অপারেশনটি প্রযোজ্য। আগে বেশীরভাগ রোগীদের পেট কেটে অপারেশন করা হতো ; নতুন এ পদ্ধতিতে পেট না কেটে অপারেশন করা হচ্ছে। এ চিকিৎসার জন্য আর ঢাকা বা বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য এ চিকিৎসকের। এর মাধ্যমে এ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগে নতুন যুগের সূচনা হলো।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকার কিডনী রোগের ভয়াবহতা ও কিডনী রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভাগীয় টারশিয়ালী হাসপাতালগুলোতে কিড্নী, হৃদরোগ ও ক্যান্সার-এ তিনটি রোগের চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে ১৫ তলা বিশিষ্ট পৃথক ভবন তৈরী শুরু করেছেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এ ধরণের একটি ভবন তৈরী হচ্ছে। এ ভবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকী কাজ চলমান রয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালিক ভবনটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।