ছাতকে তারাবিল শুকিয়ে মৎস্য আহরণ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মার্চ ২০২৩, ৪:২৬:১৪ অপরাহ্ন

ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে সৈয়দ হারুন-অর রশীদ : ছাত কে সরকারী তারাবিল হাওরের পানি শুকিয়ে মৎস্য আহরণ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানি সেচের ২টি পাম্প বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, ছাতক সদর ইউনিয়নের কুরিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে তারাবিল জলাশয় সরকারিভাবে লিজ গ্রহণ করেন সমিতির সহ-সভাপতি উপেন্দ্র বিশ্বাস। জলমহাল ব ্যবস্থাপনা নী তি ২০০৯ এর শর্ত ভঙ্গ করে জলমহালটি সাবলিজ প্রদান করে সমিতির লোকজন। অধিক লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় সাব লিজ গ্রহীতারা বিলের পাড়ে পাম্প বসিয়ে পানি শুকিয়ে মৎস্য আহরণের প্রচেষ্টা চালায়। এ উদ্দেশ্যে গত ক’দিন ধরে পাম্প দিয়ে বিলের পানি অপসারণ করে সাব লিজ গ্রহীতারা। ফলে বিলের আশপাশের প্রায় কয়েক’শ একর বোরো জমি পানি সেচের সমস্যায় পড়ে। এ ঘটনায় ১২ মার্চ পাম্প বসিয়ে বি লের পা নি শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধের জন্য এলাকাকাসীর প ক্ষে থানায় লিখিত অ ভি যোগ ক রেন রহমত আলী নামের এক ব্যক্তি।
অভি যো গের প্রেক্ষিতে থানা পু লিশ ঘটনাস্থ ল পৌঁছে ২ টি সেচ মে শিন বন্ধ ক রে দিলেও ক য়েক ঘণ্টা পর আবা রো মেশিন চালু করে পানি নিষ্কাশন অব্যাহত রাখে সাব ইজারাদারা।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্ত করে এর সত্যতা পান। ফলে গতকাল রোববার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরের জামান চৌধুরী জানান, জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ। তারাবিল জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরার অপচেষ্টা চলছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।